এমপিওভূক্ত কলেজ শিক্ষকদের পদবী বৈষম্যের অবসান হোক
মাজহার মান্নানঃ এমপিওভূক্ত কলেজ শিক্ষকদের পদোন্নতি দীর্ঘকাল যাবৎ অনুপাত প্রথার (৫ঃ২) জালে আটকা পড়েছিলো। এমনই এক প্রথা ছিলো যে প্রথার কারনে বেশির ভাগ শিক্ষককেই সমগ্র চাকুরি জীবনে প্রভাষক হিসাবে থাকতে হয়েছে এবং প্রভাষক হিসাবেই অবসর গ্রহন করতে হয়েছে। অজগর সাপের প্যাঁচের মত এই অনুপাত প্রথা থেকে শিক্ষকেরা মুক্তি পেলেও আরেক ধরণের নব সংকট তৈরি হয়েছে। সর্বশেষ এম পি ও নীতিমালা ২০২১ ( ২৮ মার্চ প্রকাশিত) অনুযায়ী অনুপাত প্রথা তুলে দিয়ে এম পি ও ভূক্ত মোট প্রভাষকের ৫০ শতাংশকে পদোন্নতি দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। এ পদোন্নতিকে আবার দুটি পর্যায়ে নামকরন করা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে প্রভাষক থেকে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক এবং ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক।
পদোন্নতির নামকরন কিছুটা হাসির খোরাক জোগায় এবং একই সাথে মন কষ্টেরও একটি বড় কারণ বটে। একই সুযোগ সুবিধা থাকবে অর্থাৎ ৬ষ্ঠ গ্রেডে উভয়ই বেতন ও অন্যান্য সুবিধা পাবে শুধু নামের বেলায় একজন জ্যেষ্ঠ প্রভাষক আর অন্যজন সহকারী অধ্যাপক। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পদোন্নতিতে জ্যেষ্ঠ প্রভাষকের পদটি নেই। প্রভাষক- সহাকারী অধ্যাপক-সহযোগী অধ্যাপক- অধ্যাপক এভাবে পদোন্নতির ক্রম সাজানো। সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে যারা জব করেন তাদের কি সিনিয়র লেকচারার পদবী দেয়া হয? সমান সুযোগ, সমান বেতন, সমান ইনক্রিমেন্ট, সমান উৎসব ভাতা, সমান বাড়ি ভাড়া, অথচ নামকরণ হবে সিনিয়র লেকচারার ও সহকারী অধ্যাপক। পদবী একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব ও সামাজিক মর্যাদার নির্নায়ক হিসাবে কাজ করে। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলিতে ডিগ্রি এবং অনার্স খোলার সুযোগ নেই। তবে তারা কি পদবী বঞ্চিত হবে? কলেজ শিক্ষকদের পদোন্নতির যে প্রতিষ্ঠিত নীতিমালা আছে সেটাই বহাল রাখা উচিত। সিনিয়র লেকচারারের পদ টি বিলুপ্ত করে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপকের বিধানটি পুনবহাল করা হোক। এ ধরণের পদবী বৈষম্য শিক্ষকতা পেশার প্রতি এক ধরণের অবিচার যা শিক্ষকদের মানসিকভাবে দুর্বল করে ফেলবে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে যখন শিক্ষাকত পেশার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হচ্ছে সেখানে আমরা কেন পিছিয়ে যাচ্ছি। পলিসি মেকারদের উদারতায় এত ঘাটতি কেন?
যাহোক উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ও ডিগ্রি কলেজে প্রভাষকদের ৬ গ্রেড প্রাপ্তিকে তুচ্ছ করে দেখার সুযোগ নেই। নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল। নীতিমালা করা হয়েছে বেশ কয়েক মাস আগে। সেখানে বলা হয়েছে একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রভাষকদের পদোন্নতি নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হবে। । ইতোমধ্যে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত পর্যায়ে। নীতিমালার ১১.৪ ধারায় বলা হয়েছে ৮ বছর চাকুরির সন্তোষজনক পূর্তিতে মোট প্রভাষকের ৫০ শতাংশ পদোন্নতি পাবেন অর্থাৎ কোন একটি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে যদি ১২ জন এম পি ও ভূক্ত প্রভাষক থাকেন তবে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ৬ জন পদোন্নতি ( ৬ গ্রেড) / জ্যেষ্ঠ প্রভাষক হবেন। ডিগ্রি কলেজেও ঠিক একই নিয়ম। শুধু জ্যেষ্ঠ প্রভাষকের স্থলে সহকারী অধ্যাপক প্রাপ্য হবেন। নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে যে অন্যান্য প্রভাষকগন ১০ বছর চাকুরির সন্তোষজনক পূর্তিতে নবম গ্রেড থেকে অষ্টম গ্রেডে উন্নীত হবেন এবং পরবর্তী ৬ বছর চাকুরি পূর্তিতে অর্থাৎ ধারাবাহিকভাবে ১৬ বছর চাকুরি সম্পন্ন হলে ৬ গ্রেড প্রাপ্য হবেন। তার মানে কোন প্রভাষক যদি ১৬ বছর একটানা চাকুরি করে থাকেন তবে তার গ্রেড ৬ পেতে কোন বাধা নেই। সে হিসাবে যাদের চাকুরি ১৬ বছর পূর্ণ হয়েছে এম পি ও ভূক্ত হিসাবে তাদের সবাই এ সুযোগটি পাবেন।
১১.৪ ধারায় বলা হয়েছে পদোন্নতির বিষয়টি চাকুরির নির্দিষ্ট মেয়াদ পূর্ণ করা ছাড়াও আরো কিছু শর্তের উপর নির্ভর করবে। এক্ষেত্রে ১০০ নম্বরের একটি মূল্যায়ন পর্ব রাখা হয়েছে। চাকুরির বয়স, দক্ষতা, সৃজনশীল কাজ, গবেষনা, কোন মামলা না থাকা, একাডেমিক রেজাল্ট, ক্লাশে উপস্থিতি সহ আরো কিছু শর্ত।সবই ঠিক আছে। শিক্ষকেরাও চান তারা তাদের যোগ্যতার মাধ্যমে পদোন্নতি পাক। ১০০ নম্বরের এই মূল্যায়নের কাজটি করবে একটি কমিটি। কিন্তু আমাদের উদ্বেগের জায়গাটি হলো যোগ্যতা নির্ধারন সূচকের অপব্যবহার নিয়ে। সূচকের যে মানদন্ড গুলি দেয়া হয়েছে সেটার অপব্যবহার করে জুনিয়রকে বাইপাস করে সিনিয়র বানানো সম্ভব। বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের পদোন্নতি সমগ্র চাকুরি জীবনে একবার। সেক্ষেত্রে সিনিয়রিটি বজায় অত্যাবশ্যক। সূচকের যে কয়টি ক্যাটাগরিতে নম্বর রাখা হয়েছে তা খুব একটা যৌক্তিক মনে হয়নি। কেননা কোন শিক্ষক অনেক সিনিয়র হওয়া সত্বেও যদি গর্ভনিং বডির সুনজরে না থাকতে পারে তবে সে সিনিয়রিটি নির্ধারনের যোগ্যতায় পিছিয়ে পড়বে। সিনিয়র হয়েও সে পদোন্নতি থেকে ছিটকে পড়বে এবং তার জুনিয়ররা পদোন্নতি পেয়ে যাবে। আর এমনটি হলে সেটা হবে একটি বুমেরাং। চরম অস্বস্তি বিরাজ করবে শিক্ষকদের মধ্যে। তাই বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে সিনিয়রিটিকেই মূখ্য ধরতে হবে। আমি সিনিয়রিটি বলতে সূচকের নম্বরের ভিত্তিতে সিনিয়রিটিকে বুঝাচ্ছি না। যিনি যোগদানে এবং এম পি ও ভূক্তির তারিখ থেকে এগিয়ে থাকবেন তাকেই সিনিয়র বলতে হবে। কোনমতেই সূচকের নম্বরের ভিত্তিতে সিনিয়র বানানো ঠিক হবে না। যিনি আগে যোগদান করবেন তিনি আগে পদোন্নতি পাবেন এমন বিধান রেখে অন্যান্য যোগ্যতা নির্ধারন করা যেতে পারে। একটি
উদাহরন দেয়া যাক। ৮ বছর পূর্ণ হলেই পদোন্নতির আবেদন করতে পারবেন। একটি কলেজে ২০ জন প্রভাষকের মধ্যে ১০ জনের চাকুরির বয়স ৮ পার হল। এদের মধ্যে কারও এমপিওর বয়স ১৫ বছর, কারও ১২ বছর, কারও ৮ বছর। এক্ষেত্রে ১৫ বছর যার হয়েছে তার পদোন্নতি পাওয়ার কথা সবার আগে। কিন্তু দেখা গেল তার একাডেমিক জীবনে হয়তো দুর্বল ফলাফল রয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি জুনিয়র কারও যদি ভাল রেজাল্ট থাকে তার থেকে নম্বরে পিছিয়ে পড়বেন। অন্যান্য যে নম্বরগুলির বিধান পদোন্নতির জন্য রাখা হয়েছে সেগুলি ম্যানেজিং কমিটির খামখেয়ালির উপর নির্ভর করবে। ধরা যাক, সৃজনশীল কাজ, ক্লাশে উপস্থিতি বা ডিজিটাল ক্লাশ নেয়ার সক্ষমতার নম্বর।
ম্যানেজিং কমিটি এই নম্বরগুলিকে ম্যানিপুলেট করতে পারবে। পদোন্নতি কমিটির কাছে ম্যানেজিং কমিটি যে ধরণের নম্বর সুপারিশ করবে একজন শিক্ষক সেটাই পাবে। তাই পদোন্নতি রাজনীতির গ্যারাকলে আটকা পড়বে। তাই এমনভাবে নিয়ম করতে হবে যেন যোগদানে যিনি সিনিয়র তাকে যেন জুনিয়ররা কোনভাবেই বাইপাস করতে না পারে। অর্থাৎ যোগদান এবং এমপিওর তারিখ থেকে যিনি সিনিয়র তিনিই পদোন্নতি পাবেন অন্যান্য শর্ত যাই থাকুক না কেন। শিক্ষকদের মূল্যায়নের কয়েকটি বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির উপর মূল্যায়ন কমিটিকে নির্ভর করতে হবে। আর এ ক্ষেত্রেই অনেক শিক্ষকের বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে ম্যানেজিং কমিটির খবরদারি চরমে এবং শিক্ষকদের সাথে তাদের সমন্বয়হীনতা রয়েছে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে ম্যানেজিং কমিটির নেতিবাচক হস্তক্ষেপের ভয়ও অনেক শিক্ষকের রয়েছে। আর এ কারনেই শিক্ষকেরা কেন্দ্রীয়ভাবে স্বয়ক্রিয় পদ্ধতিতে পদোন্নতি প্রত্যাশা করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। কোন শিক্ষকের সকল তথ্য একটি ক্লিকেই দেখা সম্ভব। কেন্দ্রীয়ভাবে এম পি ও ভূক্ত শিক্ষকদের সকল তথ্য এখন আপডেট করে রাখা হয়। শিক্ষকদের বাৎসরিক এ সি আর টিকেও আপডেট করে রাখা সম্ভব। একটি সহজ এবং কার্যকরী পদ্ধতির মাধ্যমে কিভাবে পদোন্নতি নীতিমালা দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায় সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। পদোন্নতি নীতিমালায় জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদটি বিলুপ্ত করে সহকারী অধ্যাপক প্রবর্তন করা হবে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এর ফলে শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য কমে আসবে এবং দূর হবে অসন্তোষ। যাদের এম পি ও বয়স ১৬ বছর হয়ে গেছে তাদের সকলকে সহকারী অধ্যাপকে পদোন্নতি দেয়ার কাজটি ত্বরান্বিত করতে হবে। যাদের ১৬ বছর হয়ে গেছে তারা যেন কোন ঝামেলা ছাড়াই পদোন্নতি পায় সেটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
অনুপাত প্রথার জাল থেকে মুক্ত হয়ে শিক্ষকেরা একটি নতুন স্বপ্নজাল বুনতে শুরু করেছে মাত্র কিন্তু সেটাও যদি কালক্ষেপনের ফাঁদে পড়ে যায় তবে আর এত কিছুর আয়োজন করে কি লাভ। শিক্ষকেরা নীতিমালার আলোকে নিয়ম অনুযায়ী পদোন্নতি নিতে চায়।কিন্তু সেটা পেতে যেন তাদের আর নতুন করে গলদঘর্ম হতে না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্টদেরকে সুনজর রাখতে হবে। পদোন্নতিটি যেন মরিচীকা না হয় প্রভাষকদের জন্য, সেটা যেন নিয়মের মধ্য থেকে সহজে তারা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সমগ্র চাকুরি জীবনে একটি মাত্র পদোন্নতি। আর সেটা পেতেও যদি পরতে পরতে ধাক্কা খেতে হয় তবে শিক্ষকতা পেশায় আসার আগ্রহ মেধাবীরা হারাবে। যতটুকু প্রাপ্তি আছে ততটুকু যেন প্রভাষকরা সুন্দরভাবে পায় সেটা কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষকেরা এমনিতেই নানা সমস্যায় জর্জরিত, তার উপরে পদোন্নতি নিয়ে যদি তাদের দুশ্চিন্তা করতে হয় তবে সেটা হবে মরার উপর খাড়ার ঘা। আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে পদোন্নতি কোন করুণা নয় এটা চাকুরিজীবিদের একটি অধিকার।
নীতিমালার ১১.৪ এবং ১১.৫ এ পদোন্নতির বেশ কয়েকটি শর্তের কথা বলা হয়েছে। এ সকল শর্তগুলি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কোন শিক্ষক যেন বৈষম্যের শিকার না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এম পি ও ভূক্ত কলেজে প্রভাষকদের জ্যেষ্ঠতা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেদিন থেকে কোন প্রভাষকের এম পি ও হয় সেদিন থেকে তার জ্যেষ্ঠতা গননা শুরু হয়। অর্থাৎ কেউ যদি এক দিনেরও সিনিয়র হয় তবে সে জ্যেষ্ঠ। এম পি ও ভূক্তির এই জ্যেষ্ঠতাকে অক্ষুন্ন রেখে পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে। সংশোধিত নীতিমালায় এম পি ও ভূক্তি থেকে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারনের ক্ষেত্রে ৩৫ নম্বর বরাদ্দ করা আছে। নীতিমালার ১১.৬ অনুচ্ছেদে ১০০ নম্বরের ৯ টি মূল্যায়ন সূচক নির্ধারন করা হয়েছে। এ মূল্যায়ন সূচকের ১০০ নম্বরের মধ্যে ৩৫ নম্বর এম পি ও ভূক্তির জ্যেষ্ঠতার জন্য বরাদ্দ। বাকি ৬৫ নম্বরের মধ্য
একাডেমিক রেজাল্ট ১৫, ক্লাশে মোট উপস্থিতি ২০, বিরুপ মন্তব্য না থাকা ৫, মামলা না থাকা ৫, সৃজনশীল কর্ম ৫, ভার্চুয়াল ক্লাশ নেয়ার দক্ষতা ১০, উচ্চতর ডিগ্রি ৫, গবেষণা কর্ম ৫।
এই ১০০ নম্বরের মূল্যায়নে যারা এগিয়ে থাকবে তারা পদোন্নতি পাবেন। আর এই ১০০ নম্বরের মধ্যে ম্যানেজিং কমিটির হাতে যে নম্বরগুলি আছে সেটা নিয়েই শিক্ষকদের মধ্যে ভীতি কাজ করছে এই ভেবে যে তারা সঠিক নম্বরটি পাবেন কিনা। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন আর সেটা হল বর্তমানে ২৫২৪ টি উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি কলেজ রয়েছে। আর এতগুলি কলেজের প্রভাষকদের পদোন্নতি একটি কমিটির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা কতটুকু সম্ভব হবে সেটাই বড় প্রশ্ন। যাহোক কমিটি যদি দ্রুত কাজ শুরু করে তবে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে। জানা গেছে এক্ষেত্রে আঞ্চলিক কমিটি গঠন করে কাজকে সহজ করা হবে।
বাংলাদেশ তার সুবর্ণ জয়ন্তীয় সাল পার করেছে। একই সাথে মুজিব শত বর্ষ বাঙালিরা গর্বের সাথে উদযাপন করেছে। স্বাধীনতার এই সুবর্ণ জয়ন্তীতে শিক্ষকেরা যেন তাদের প্রাপ্যটুকু পান সেটাই সবার কাম্য। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের এক রোল মোডেল। সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এত কিছুর পরও শিক্ষকদেরকে বিভিন্ন দাবি আদায়ে প্রেসক্লাবে প্রায় সারা বছরই দেখা যায়। শিক্ষকেরা তাদের প্রাপ্যটুকু বুঝে পেলে প্রেসক্লাব নয় তারা শ্রেণিকক্ষেই নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখবে। জাতি গড়ার এই সকল কারিগরদের নায্য প্রাপ্যটুকু যেন যথা সময়ে নিশ্চিত করা হয় সেটাই হোক আমাদের ব্রত।
লেখকঃ , সহকারী অধ্যাপক, বি এ এফ শাহীন কলেজ কুর্মিটোলা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১১/০৩/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়