এমপিওভুক্ত হচ্ছেন ভুল চাহিদায় যোগদান করা শিক্ষকরাও
নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত বলে চাহিদা দেওয়া প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হবে। তবে ভুল চাহিদায় এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে যোগদান করা শিক্ষকদের প্যাটার্নভুক্ত এমপিও সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় চক্রের গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ পেয়ে যোগদান করা শিক্ষকদের এ সুবিধার আওতায় আনতে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে এ সংক্রান্ত ছয় দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বেসরকারি এমপিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এনটিআরসিএর সুপারিশের মাধ্যমে নন-এমপিও পদে শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্তগুলো হলো- ভুল চাহিদা দেওয়া প্রতিষ্ঠান প্রধানকে কারণ দর্শানো, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কেবল প্যাটার্নভুক্ত পদে নন-এমপিও সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিধি মোতাবেক এমপিওভুক্ত করা, কোনোভাবে নন-এমপিও সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষক শূন্যপদের বিপরীতে সমন্বয় করা যাবে না। এছাড়া এ সিদ্ধান্ত এনটিআরসিএর জারি করা শুধুমাত্র দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নন-এমপিও পদে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, চাহিদা দেওয়া নন-এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এমপিও আদেশপ্রাপ্ত হলে বা নন-এমপিও স্তর নতুন করে এমপিওভুক্ত হলে সেই শিক্ষকরা বিধি মোতাবেক এমপিওভুক্তি হতে পারবেন। এনটিআরসিএর দেওয়া সুপারিশপত্রে সুপারিশ পাওয়া পদটি নন-এমপিও বিধায় এতে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা কখনো এমপিও সুবিধা দাবি করতে পারবে না।
এ সুপারিশ নন-এপিও পদ হবে। এটি কোনোভাবেই এমপিও পদে সমন্বয় করার সুপারিশ নয় এবং এর মাধ্যমে প্রার্থীর এমপিওপ্রাপ্তির কোনো অধিকার জন্মাবে না মর্মে উল্লিখিত চার নম্বর শর্ত বাতিল করা হয়েছে।
নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিও সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে উল্লেখ করা সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনার প্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।