এমপিওভুক্ত নিবন্ধনধারী আইসিটি শিক্ষকগনকে ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ প্রদানে হাইকোর্টের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত নিবন্ধনধারী তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি/কম্পিউটার কম্পিউটার শিক্ষকগনকে এনটিআরসিএ’র ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে বিভাগীয় প্রার্থী হিসাবে আগামী ১০ (দশ) দিনের মধ্যে আবেদনের সুযোগ প্রদানে হাইকোর্টের নির্দেশ।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত কম্পিউটার বিষয়ে নিবন্ধনধারী শিক্ষকগন এনটিআরসিএ’র অধীনে প্রকাশিত ৩য় গনবিজ্ঞপ্তিতে বিভাগীয় প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ প্রদান না কেন অবৈধ ঘোষনা করা হবেনা একই সাথে কেন তাদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসাবে আবেদনের সুযোগ প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করা হবেনা এ মর্মে ৬৩ কম্পিউটার শিক্ষকের দায়ের করা রিট পিটিশনের প্রাথমিক শুনানি শেষে আজ রবিবার (০২ মে, ২০২১) মহামান্য হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম ও মাননীয় বিচারপতি সরদার মো: রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ বিবাদীদের প্রতি রুল নিশি জারি করেন একই সাথে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত নিবন্ধনধারী তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি/কম্পিউটার কম্পিউটার শিক্ষকগনকে এনটিআরসিএ’র ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে বিভাগীয় প্রার্থী হিসাবে আগামী ১০ (দশ) কর্মদিবসের মধ্যে আবেদনের সুযোগ প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রীটকারীদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া অপর দিকে রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটনি জেনারেল অরবিন্দু কুমার রায়। রীটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ ও কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে’র সচিব, এনটিআরসি’র চেয়ারম্যান সহ ০৪ জন কে বিবাদী করা হয়েছে।
রীটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, বিগত ৩০/০৩/২০২১ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে এনটিআরসিএ এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ, মাদ্রসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট ৫৪,৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগের জন্য তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। উক্ত গণ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি/কম্পিউটার বিষয়ে সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৭০০০ শূণ পদে দেখানো হয়। উল্লেখ যে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এম.পি.ও নীতিমালা-২০২১, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (মাদ্রাসা) জনবলকাঠামো ও এম.পি.ও নীতিমালা-২০১৮, ও বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও এম.পি.ও নীতিমালা-২০১৮ অনুসারে ইনডেক্সধারী শিক্ষক-কর্মচারী সমপদ/সমস্কেলে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এ নীতিমালার পরিশিষ্ট ‘ঘ’ তে বর্ণিত শিক্ষাগত যোগ্যতা (শ্রেণি/বিভাগ) প্রযোজ্য হবে না; সেক্ষেত্রে তাদের প্রথম নিয়োগকালীন শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রযোজ্য হবে। তবে এ নীতিমালা জারির তারিখ থেকে নতুনভাবে উচ্চতর পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে পরিশিষ্ঠ ‘ঘ’ তে বর্ণিত ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
নীতিমালার উক্ত শর্ত অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত কম্পিউটার সনদধারী শিক্ষকগনের বিভাগীয় প্রার্থী হিসাবে আবেদন করার সুযোগ থাকলেও এনটিআরসির অনলাইন আবেদনের অপশনে বিভাগীয় প্রার্থী হিসাবে আবেদনের সুযোগ রাখা হয়নি বিধায় সারা দেশের ৬৩ জন শিক্ষক এই রিট পিটিশনটি দায়ের করেন ।
আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া আরো বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের উক্ত আদেশের ফলে উক্ত আদেশের ফলে, এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ, মাদ্রসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি/কম্পিউটার বিষয়ে এমপিও ভুক্ত নিবন্ধনধারী শিক্ষকগন এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রকাশিত তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি এ বিভাগীয়প্রার্থী হিসাবে আবেদনের বাধা রইল না।
রিটকারী হলেন বিভিন্ন জেলার ওসমান গনি, সুদেব চন্দ্র পাল, গিতা, মোছা. রেখা খাতুন, মোছা. রিক্তা খাতুন, আরিফুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল্লাহিল বাকী, মোঃ শাহিনুর রহমান, শারমিন মজুমদার, মন্টুলাল সরকার প্রমুখ।