এমপিওভুক্তির দাবিতে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি ডিগ্রি কলেজসমূহে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত ও কর্মরত ৫৫০০ নন এমপিও অনার্স-মার্স্টার্স শিক্ষককে দ্রুত এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। দাবি পূরণ না হলে আগামী ১২ মার্স থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচীর ঘোষণা করা হয়। একই সাথে আমরণ অনশনের মতো কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জানান, বেসরকারি কলেজসমূহে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত সারাদেশের ৫,৫০০ জন অনার্স -মাস্টার্স শিক্ষককে জনবলে অন্তর্ভুক্তি না থাকার অজুহাতে দীর্ঘ ২৯ বছর থেকে সরকারি সুযোগ সুবিধার (এমপিও) বাইরে রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ বেতন দেয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ কলেজ কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়না।
করোনাকালে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত নামমাত্র বেতনটুকুও বন্ধ থাকায় শিক্ষকগণ জীবন- জীবিকার কঠিন সমীকরণে আটকে গেছে। একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়ে সদ্য জাতীয়করণকৃত কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকগণ ক্যাডার/নন -ক্যাডারভুক্ত হয়েছেন, ডিগ্রী ৩য় শিক্ষকগণ জনবলে না থাকার পরেও এমপিওভুক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে কামিল(মাস্টার্স) শ্রেণির শিক্ষকগণও এমপিওভুক্ত হয়েছেন। অথচ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকগণও এনটিআরসিএ সনদধারী হয়েও জনবল ও এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না, যা চরম বৈষম্য এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী। উল্লেখ্য যে, দীর্ঘ ২৯ বছর থেকে পেশাগত দাবি আদায়ের জন্য অনেক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার পরেও অদ্যবধি আমরা সরকারি বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছি। সর্বজন স্বীকৃত সত্য যে, বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের মাধ্যমে শিক্ষা সেক্টরের অনেক বৈষম্য কমেছে কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে,উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত সারাদেশের মাত্র ৫,৫০০ জন শিক্ষক এখনো এমপিওভুক্তির বাইরে রয়েছেন।
'একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়ে সদ্য জাতীয়করণকৃত কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকগণ ক্যাডার/নন -ক্যাডারভুক্ত হয়েছেন, ডিগ্রী ৩য় শিক্ষকগণ জনবলে না থাকার পরেও এমপিওভুক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে কামিল (মাস্টার্স) শ্রেণির শিক্ষকগণও এমপিওভুক্ত হয়েছেন। অথচ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকগণও এনটিআরসিএ সনদধারী হয়েও জনবল ও এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না।'
আক্ষেপ করে বলেন, শিক্ষক নেতৃবৃন্দ
নেতৃবৃন্দ আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের একাধিক নির্দেশনা,শিক্ষামন্ত্রণালয় সম্পর্কিত নবম ও দশম সংসদের স্হায়ী কমিটির সুপারিশ এবং জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এর অধ্যায়-০৮ -এ বর্ণিত উচ্চশিক্ষার কৌশল বাস্তবায়নের জন্য এই সকল শিক্ষকের এমপিওভুক্ত করা অত্যন্ত যৌক্তিক ছিলো।বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত ও কর্মরত ৫,৫০০ জন শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করতে প্রতিমাসে ১২ কোটি বছরে ১৪৪ কোটি টাকার বাজেটে ব্যয়বরাদ্দ হলেই আমাদের স্বপ্নপূরণ হয়;জনবল ও এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়। আমরা জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা,বিশ্ব মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষাবান্ধব সরকারের সুযোগ্য শিক্ষামন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনার মাধ্যমে প্রচলিত জনবল কাঠামো সংশোধন করে এমপিওভুক্তি চাই,বেঁচে থাকার সুযোগ চাই।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৮/০২/২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়