একুশে পদক পেলেন সিরাজগঞ্জের ৩ জন
অনলাইন ডেস্ক ||
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন সিরাজগঞ্জের তিনজন।
ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য পদক পেয়েছেন মোতাহার হোসেন তালুকদার (মরণোত্তর) এবং মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য কবি, লেখক, সাহিত্যিক সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর) ও উল্লাপাড়ার সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হাসনায়েন নান্নু।
শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক রাজধানীর ওসামানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ২১ জন বিজয়ীর হাতে এ পদক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মোতাহার হোসেন তালুকদার ১৯৪৬ সালে তৎকালীন মুসলিম ছাত্রলীগে যোগদান করেন। তিনি ১৯৪৭ সালে পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজের জিএস, ১৯৪৮ ও ১৯৪৯ সালে রাজশাহী গভর্নমেন্ট কলেজের জিএস ও ভিপির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মোতাহার হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলার সাবেক গর্ভনর ও সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আমৃত্যু সভাপতি ছিলেন। ১৯২২ সালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার গজারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিজ বাসভবনে ২০০১ সালের ২ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
নারী সমাজের রত্নগর্ভা মা সৈয়দা ইসাবেলা ছিলেন সিরাজগঞ্জের খ্যাতনামা সৈয়দ পরিবারের মেয়ে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার বিশেষ অবদান রয়েছে। নারী জাগরণ ও দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য নাম সৈয়দা ইসাবেলা। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠক ছিলেন। ১৯৪২ সালের ২৪ ডিসেম্বর সৈয়দ মোহাম্মদ ইসহাক ও আছিরুন নেছা খন্দকারের পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মা-বাবা দুজনেই ছিলেন শিক্ষক। ২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি মহীয়সী নারী সৈয়দা ইসাবেলা মৃত্যুবরণ করেন।
জীবন্ত কিংবদন্তি গোলাম হাসনায়েন নান্নু। তিনি ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এক সময়ের জনপ্রিয় ও তুখোড় রাজনীতিবিদ গোলাম হাসনায়েন নান্নু পাবনা জেলা
বারের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। ১৯৭০ সালের পর মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি উল্লাপাড়ার রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ জড়িত ছিলেন। ১৯৭২ থেকে ২০০১ সালের রাজনীতির মাঠে সক্রিয় ছিলেন।