একজনে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান পছন্দের সুযোগ পাবে
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, দেশের বিদ্যালয়গুলোতে এ বছর ভর্তি পরীক্ষার বদলে লটারিতে ভর্তি নেওয়া হবে। ক্লাস্টারভিত্তিক লটারিতে ঢাকার শিক্ষার্থীরা একটির জায়গায় এবার পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাছাই করার সুযোগ পাবে।
বুধবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার ঢাকা মহানগরের সরকারি মাধ্যমিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় পছন্দের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। এত দিন একেকটি গুচ্ছের মধ্যে একটিতে পছন্দ করতে পারত শিক্ষার্থীরা। এখন একটি গুচ্ছের পাঁচটি পছন্দক্রম দিতে পারবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে এবার ক্যাচমেন্ট এরিয়া (বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা)) ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ স্কুলের আশপাশের এলাকার শিক্ষার্থীদের এখন ৫০ শতাংশ ভর্তি করা হবে। এতদিন আশপাশের এলাকার ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হতো।
আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে সব বিদ্যালয়ের লটারি প্রক্রিয়া শেষ করা হবে বলেও এ সময় জানান শিক্ষামন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর প্রথম শ্রেণির ভর্তিতে লটারি এবং দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা হয়। তবে করোনাভাইরাসজনিত (কভিড-১৯) পরিস্থিতির কারণে ২০২১ সালে অনলাইনের মাধ্যমে সব ক্লাসেই শিক্ষার্থী ভর্তির ফরম বিক্রি করা হবে; এরপর তা যাচাই-বাছাই করে লটারির জন্য নির্বাচন করবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। একাধিক ধাপে লটারি করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এর ফলাফল নিজ নিজ বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক ও কয়েকজন অভিভাবক নিয়ে গঠিত ভর্তি কমিটি এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
সন্তানের ভর্তি লটারিতে সব অভিভাবকের উপস্থিত হওয়ার সুযোগ না থাকলেও তাদের ভেতরের পাঁচ থেকে সাতজনকে লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। তাদের ভর্তিচ্ছু সব অভিভাবকের প্রতিনিধি হিসেবে ভর্তি কমিটিতে যুক্ত করা হতে পারে।
বর্তমানে দেশে ৬৮৩টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে শুধু রাজধানীতে আছে ৪২টি। বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ১৯ হাজার ৪২১টি। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৭৭৫টি এমপিওভুক্ত, বাকি দুই হাজার ৬৪৬টি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শিক্ষাবার্তা/ বিআ