এইচএসসি: শতকরা হারে জিপিএ-৫ এর শীর্ষে রাজশাহী
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এবার পাসের হার ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ।
রোববার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আরিফুল ইসলাম জানান, এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী।
কোভিড মহামারীর কারণে বিলম্বিত শিক্ষাবর্ষ শেষে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সারা দেশে পাস করেছে ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ শিক্ষার্থী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করেন। পরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে এবারের ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, শতকরা হারে সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পেয়েছে রাজশাহীর শিক্ষার্থীরা। সেখানে ২২ দশমিক ২৪ শতাংশ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে।
এ ছাড়া ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ১৯ দশমিক ১০ শতাংশ, কুমিল্লায় ১২ দশমিক ৩৫ শতাংশ, যশোরে ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ, বরিশালে ১৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ, সিলেটে ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, দিনাজপুরে ১৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে ১১ দশমিক ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
অপর একটি বিশ্লেষণে দেখা যায়, পাসের হারের দিক থেকে নয়টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী বোর্ড। প্রথম স্থানে রয়েছে যশোর শিক্ষা বোর্ড; সেখানে গড় পাসের হার ৯৮.১১ শতাংশ। আর ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ পাস নিয়ে কুমিল্লা দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, এবার এক লাখ ৪৭ হাজার ৪৮৪ জন্য শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ৪৩ হাজার ৪৮৯ জন শিক্ষার্থী। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী।”
পাস ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে এবারও ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে আরিফুল ইসলাম বলেন, মেয়ের পাসের হার ৯৮ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং ছেলেরা পাস করেছে ৯৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। এ ছাড়া জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৪০০ ছাত্রী এবং ছাত্ররা জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ৪০০ জন।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আট জেলার ৭৫৯টি কলেজ থেকে এবার শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৬২টি কলেজে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
২০২০ সালে দেশে মহামারীর প্রকোপে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। তবে ২০২১ সালে পরীক্ষা ছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের পরের ধাপে পাঠাতে চায়নি সরকার। ফলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের অপেক্ষায় আট মাস পিছিয়ে যায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।
স্বাভাবিক সময়ে এপ্রিলে এ পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় গত ২ ডিসেম্বর। বিশেষ পরিস্থিতিতে এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে ছয়টি পত্রে এইচএসসি পরীক্ষা হয়। সময় কমিয়ে আনা হয় দেড় ঘণ্টায়।
২ হাজার ৬২১টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১৮৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৮১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
বাংলা ও ইংরেজির মতো আবশ্যিক বিষয়গুলোর পরীক্ষা এবার নেওয়া হয়নি। তার বদলে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে সেসব বিষয়ের মূল্যায়ন করে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল তৈরি করা হয়েছে।