এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
মো:নুরুল হক
প্রভাষক,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ
সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল কলেজ
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে আর বেশি সময় নেই। আশা করছি তোমাদের পরীক্ষার সব প্রস্তুতি শেষ করে নিয়েছ। তাই আর যেটুকু সময় হাতে আছে,তাতে নতুন করে কিছু না পড়ে বরং পুরোনো পড়া বিষয়গুলো বারবার রিভিশন দাও। রুটিন যেহেতু পেয়ে গেছো তাই সুবিধামত ছক করে নিয়ে পঠিত বিষয়গুলো চর্চা কর। ঘরে বসে মডেল টেস্ট দাও এবং নিমুনা উত্তর লেখার চেষ্ঠা কর । এইচএসসি পরীক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে লিখিত অংশে(সৃজনশীল) ৫০(যেখানে ৮টি প্রশ্ন থেকে ৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়) এবং বহুনির্বাচনি অংশে থাকে ২৫ নম্বর । আর বাকী ব্যবহারিক পরীক্ষার ২৫ নম্বর নিজ নিজ কলেজ সম্পন্ন করেছে। এখন সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর লেখার সময় যে সকল বিষয় মনে রাখবে তা সংক্ষিপ্ত আকাওে তোমাদের জন্য তুলে ধরছি।
১.পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভালো করে পুরো প্রশ্নটি পড়ে সিদ্ধান্ত নিবে কোন কোন প্রশ্নোত্তর ভালোভাবে লিখতে পারবে।
২.হাতের লিখা স্পষ্ট হতে হবে। যেন তোমার লেখা প্রশ্নের উত্তরটি পরীক্ষক সহজেই বুঝতে পারে।
৩.প্রশ্নে চিত্রের কথা উল্লেখ না থাকলেও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চিত্র দিতে পারলে প্রশ্নের উত্তরকে আরো সমৃদ্ধ করে। তবে চিত্র একে ক্যাপশনসহ চিত্রের বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত করে দেওয়া ভালো।
৪. উত্তর লেখার ক্ষেত্রে বানানের ব্যাপারে খুব যতœবান হতে হবে। অকারণে উত্তর দীর্ঘ করার প্রয়োজন নেই।
৫.ভাষার ক্ষেত্রে সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণ দুষণীয়। প্রশ্নের সাথে উত্তরের মিল রেখে উত্তর লিখতে হবে
৬.প্রশ্নের ক্রমিক নং সঠিক করে লিখবে অর্থ্যাৎ প্রশ্নের ক্রমিক নং যত থাকবে উত্তরের ক্রমিক নম্বর সেটি লিখতে হবে।
৭. ৫ম অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর করার সময় যদি ফ্লোচার্ট থাকে তা অবশ্যই পেন্সিল দিয়ে আঁকবে। তবে ফ্লোচার্ট এর ভিতরের লেখা কলম দিয়ে লিখবে। সি প্রোগ্রাম অংশটুকু বার বার লিখে চর্চা করবে।
৮.সংখ্যা পদ্ধতি ও ডিজিটাল ডিভাইস থেকে উত্তর করার সময় খেয়াল রাখবে যেন অংকের বেস ঠিক থাকে যেহেতু এই অংশটুকু গাণিতিক তাই অনুশীলনের বিকল্প নেই। লজিক গেইটের চিত্র আকার সময় পেন্সিল ব্যবহার করবে।
৯.পরীক্ষায় আরো রয়েছে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি অংশ। এই ২৫ নম্বর থেকে ২৫ নম্বর পাওয়া কঠিন কিছু নয়,যদি পরিকল্পনা করে অধ্যয়ন কর।সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বিশেষ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলেই ,সহজে বেশি নম্বর পাওয়া সম্ভব।
১০.পাঠ্যবই পড়ার সময় পাঠের বিশেষ অংশ যেগুলো তুমি খুব বেশি প্রয়োজন মনে করবে তা থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন হওয়ার সম্ভবনা থাকে সে সকল বাক্য বা বাক্যাংশ রঙিন মার্কার কলম দিয়ে মার্ক করে রাখবে। যেন প্রয়োজনে অন্য সময় চোখ বুলালেই খুব সহজে পাঠটি তোমার অনুমেয় হয়।
১১.বন্ধুদের সাথে পাঠ্য বইয়ের ছোট ছোট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবে এবং সুযোগ পেলেই সংক্ষিপ্ত বিষয়গুলো নিয়ে ভাববে।
১২. বহুনির্বাচনি পরীক্ষা একটি বিষয় লক্ষণীয় যে ,একটি প্রশ্নের জবাবে আরেকটি প্রশ্নের উত্তরের বৃত্ত ভরাট করে থাক। যেমন মনে কর ১০ নম্বর প্রশ্নর উত্তর ক এর বৃত্ত ভরাট না করে ১১ নম্বর প্রশ্নর উত্তর ক ভরাট করে ফেলেছ, এক্ষেত্রে দুটো নম্বর হারানোর সম্ভাবনা থাকে। তাই বহুনির্বাচনি প্রশ্ন দেওয়ার সময় যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে এবং মনে রাখতে হবে একটু অসতর্ক হলেই মহাবিপদ।
১৩.মনে রাখবে ছাত্রজীবন মানেই পরীক্ষা তাই পরীক্ষা দিনগুলোতে একটু বেশি সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।