ঈদের আমেজ কাটেনি হাতীবান্ধার শালবনে
মোস্তাফিজুর রহমান (মোস্তফাা)লালমনিরহাট প্রতিনিধি :: থাকা খাওয়ার সমস্যা থাকলেও লালমনিরহাট শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দুরে প্রাকৃতিক ভাবে হাতীবন্ধার নওদাবাস এলাকায় গড়ে ওঠা শালবন। ভিতরে গেলেই মিলবে প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য। ঈদ উপলক্ষে আশপাশের জেলা উপজেলা থেকে প্রতিদিন হাজার খানেক দর্শনার্থীদের ভিড় জমছে এই উদ্যানটিতে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা বিশাল আয়তনের শালবনের নিরিবিলি পরিবেশ, নানা রকম পাখির ডাক মনোমুগ্ধ করে তুলেছে পর্যটকদের।
বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কলকাকলিতে সার্বক্ষনিক মুখরিত থাকে প্রকৃতিক নিয়মে গড়ে ওঠা এ শালবন। বনে গাছের নিচে আলাদা করে লাগানো হয়েছে বেতগাছ। তবে এ গাছে অনেক কাটা থাকায় চলতে হবে দেখে শুনে। ঈদের ছুটিতে অবসর সময় কাটাতে অনেকেই ভির জমান এই বনে। ঈদসহ যেকোন দীর্ঘ ছুটিতে এখানে বসে প্রকৃতি প্রেমি ও বিনোদন প্রেমিদের মিলন মেলা। তবে এ বনে ঘুরতে বা প্রবেশ করতে কোন গেটপাশ প্রয়োজন হয় না।
এখানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা বলছেন, শালবনটি দর্শনার্থীদের জন্য নানা রকম সুযোগ সুবিধা বাড়ানো গেলে এখানে দর্শনার্থীদের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাবে সেই সাথে কর্মসংস্থান হবে স্থানীয়দের। তারা আরো বলেন, বিশাল আকারের এই শালবনে দেশেরবিভিন স্হান থেকে ঈদ বা ছুটির দিন কে ঘিরে বিভিন্ন বয়সী প্রিয় মানুষের সমাগমে ভরে উঠে শালবন। বন্যপ্রানীর অভায়শ্রাম ঘোষনা করে এ শালবনকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলে বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।
নওদাবাস ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জানান, পর্যাপ্ত বনরক্ষী না থাকায় দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।প্রায় একর আয়তনের এ শালবনটি রক্ষায় বনবিভাগের এই বিটে জনবল সংকট রয়েছে সরকার ইচ্ছে করলে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। সেই সাথে পর্যটনসেবা বঞ্চিত বিনোদন প্রিয় জেলাবাসীর চিত্তবিনোদনের একমাত্র স্পট হতে পারে এই শালবন।
যেভাবে যাবেন, লালমনিরহাট শহর থেকে সড়ক ও রেলপথে করে হাতীবান্ধায় নেমেই রিক্সা, ভ্যান ভাড়া করে মাত্র ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই পৌছে যাবেন শালবনে। বনে ঘুরে ক্লান্ত হলে বিশ্রামের জন্য বসার ব্যবস্থা রয়েছে। খাবারের জন্য ছোট ছোট দোকান বসেছে।থাকার কোন ব্যবস্থা নেই।