ইসি গঠনে ১০ জনের তালিকা চুড়ান্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক।।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির করে দেওয়া সার্চ কমিটির আহ্বানে সাড়া দিয়ে নিজেদের পছন্দের ১০ জনের একটি তালিকা দেবে আওয়ামী লীগ। আজ বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দলের পক্ষ থেকে তালিকাটি জমা দেওয়া হবে। গত মঙ্গলবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের প্রেসিডিয়াম সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
মঙ্গলবারের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশন গঠন আইন নিয়ে বলেন, পৃথিবীর কয়টি দেশে এমন আইন রয়েছে, সে সম্পর্কেও জনগণকে জানাতে হবে। প্রসঙ্গত, সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সিইসি পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন সাবেক সচিব ড. এ টি এম শামসুল হুদা। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন তার নেতৃত্বেই অনুষ্ঠিত হয়। এর পরের দুই জন সিইসিও ছিলেন সাবেক আমলা। তারা হচ্ছেন সাবেক দুই সচিব কাজী রকিবউদ্দীন এবং কে এম নূরুল হুদা। বিচারপতিদের মধ্যে সর্বশেষ সিইসি পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন বিচারপতি এম এ আজিজ। ওয়ান-ইলেভেনের আগে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে তাকে বিচারপতি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনের মুখে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন।
আর বিএনপি ১৯৯৬ সালে ও ২০০৬ সালেও ক্ষমতা ছাড়তে চায়নি। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার সব চেষ্টা করেছে। ওই দলের মুখে গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে এত বড় বড় সবক মানায় না। বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংগঠন ঐক্যবদ্ধ থাকলে, সরকারের উন্নয়নের প্রচার ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সোচ্চার থাকলে আগামী নির্বাচনেও বিজয়ী হবে আওয়ামী লীগ। এ সময় বিদ্রোহী বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আগের মতোই কঠোর অবস্থান তুলে ধরে বলেন, যারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করেছে, তারা ভবিষ্যতে কোনো নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পাবে না। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদেও তাদের রাখা হবে না। দলের তো একটা শৃঙ্খলা থাকতে হবে। দলের সিদ্ধান্ত সবাইকে মেনে চলতে হবে।
বৈঠক সূত্র জানায়, তৃণমূলের সম্মেলনগুলোতে নেতা নির্বাচন করার ক্ষেত্রে দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যদের মূল্যায়ন করার নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দলের মধ্যে যেন ‘আগাছা-পরগাছা’ ভর না করে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। যেসব ‘আগাছা-পরগাছা’ দলে ঢুকে গেছে, এগুলো উপড়ে ফেলতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলের প্রার্থী কারা হতে পারে—এ বিষয়টিও উঠে আসে প্রেসিডিয়াম বৈঠকের আলোচনায়। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, শুধু দলের কাছে জনপ্রিয়তাই নয়, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় নেতারাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।