আর অটোপাস নয়,সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করেই পরীক্ষা
অনলাইন ডেস্ক।।
করোনা পরিস্থিতিতে অন্য সবকিছুর মতো থমকে গেছে দেশের শিক্ষাঙ্গন। এ অবস্থায় গত এক বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা এবং অষ্টম ও পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা না নিয়ে অষ্টম শ্রেণির সমাপনী ও এসএসসি সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
আর ২০২০ সালের মাধ্যমিক পর্যায়ের অষ্টম শ্রেণি এবং প্রাথমিক পর্যায়ের পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হয়। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গণমাধ্যমেই ‘অটো পাস’ হিসেবে প্রচারিত হতে থাকে। সমালোচনার মুখে পড়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এমন বাস্তবতায় এবার আর ‘অটো পাস’ নয়, সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করেই অনুষ্ঠিত হবে ২০২১ সালের এসএসসি এবং এইচএসসি সমমান পরীক্ষা। পরীক্ষা ছাড়া বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়নের কথা ভাবা হচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়নকে ‘অটো পাস’ হিসেবে অভিহিত করে যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছিল— তা থেকে বেরিয়ে আসতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড। তাই দেরি করে হলেও এসএসসি সমমান এবং এইচএসসি সমমান পরীক্ষা নেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করে এসএসসি এবং এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হবে। ছুটি চলাকালে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে এসএসসি সমমান পরীক্ষার্থীদের ৬০ দিনের এবং এইচএসসি সমমান পরীক্ষার্থীদের ৮০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করা হবে। যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যায় তাহলে সরাসরি ক্লাস নিয়ে সিলেবাস শেষ করা হবে। সিলেবাস যতটুক শেষ করা হবে, ততটুকুর মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হবে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী অ্যাসাইনমেন্ট প্রণয়ন করছে। অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করে পরীক্ষা নেওয়া হবে।’
এর আগে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ জানিয়েছিলেন, ‘পরীক্ষার বিকল্প ভাবছি না। দেরিতে হলেও পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সব কিছু করা হবে। পরীক্ষার সময়সূচি দুই সপ্তাহ আগেই জানানো হবে।’
প্রসঙ্গত, গত বছর ৮ মার্চ দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হলে ওই বছর ১৭ মার্চ একযোগে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। দফায় দফায় তা বাড়িয়ে আগামী ২৯ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজ (২৬ মে) বুধবার আরও এক দফা ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হবে।