প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘সেবার মান বাড়াতে হবে। কোনো সেবাগ্রহীতা যেন আমাদের কাছ থেকে বিমুখ হয়ে ফিরে না যান। যদি সেবাগ্রহীতাকে তাঁর কাজ করে দেওয়া সম্ভব না–ও হয়, তবুও তিনি যেন তৃপ্তি নিয়ে ফেরত যেতে পারেন।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, নাগরিক সেবা উন্নত হচ্ছে না। যারা প্রান্তিক পর্যায়ের সেবা গ্রহীতা, তারা সেবা পাচ্ছে না। উচ্চপর্যায়ের পুরস্কার পেলেই জনগণের চিন্তাভাবনা ইতিবাচক হবে, তা নয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সেবা সম্পর্কে পাবলিক পারসেপশন এখনো ভালো না। আমরা ভোগান্তিহীনভাবে সেবা দিতে পারছি না। জেলা ও উপজেলার শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের বাজেট বাড়ছে, কিন্তু সেবার মান বাড়ছে না। অর্থ অনেক খরচ হচ্ছে, অথচ প্রভাবমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে পারছি না। প্রভাবমুক্ত ও ভোগান্তিহীন সেবা নিশ্চিত করতে হবে।’
সেবার মান ও জবাবদিহি নিশ্চিত না হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, ‘কিছুদিন আগে ২৩৩ জনকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দিয়েছি। এই পদোন্নতির জন্য আমরা ছাড়পত্র পেয়েছিলাম গত ডিসেম্বর মাসে। আমরা যদি জানুয়ারিতে পদোন্নতি দিয়ে দিতাম কোনো সমস্যা ছিল না। এতে আমাদের কোনো বাধা ছিল না। আমরা দিতে দেরি করায় আটজন মারা গেছেন। ২৪ জন অবসর–উত্তর ছুটিতে (পিআরএল) গেছেন। শেষ পর্যন্ত যখন প্রস্তাব পাঠাই তখন আরও একজন পিআরএলে চলে গেছেন। আমার মনে হয়, তাঁদের এই ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করায় আমাদের আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে।