আদমদীঘিতে ৩০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক
মোঃ রবিউল ইসলাম (রবীন), আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিবেদক: জেলার আদমদীঘি উপজেলায় ৯৮টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩০ টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। দির্ঘদিন ধরে এই বিদ্যালয় গুলিতে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য অবস্থায় আছে। ওই ৩০ টি বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চালোনো হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। ফলে প্রশাষনিক কার্যক্রম সহ শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা বিঘ্নিত হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলায় মোট ৯৮টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ টি বিদ্যালয়েই প্রধান শিক্ষকের পদ দির্ঘদিন যাবৎ শূন্য রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ গুলি হলো, উপজেলার ছাতনি- ঢেকড়া সরকারি প্রাথমিক, হার্ভে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রান্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাঘবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শালগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সুদিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উজ্জলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয দত্তবাড়িয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নশরৎপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হলুধঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তিলচ শিবাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছাতুয়া-সিংড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিববাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রভৃতি, সান্তাহার বিপি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রভৃতি। এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় একজন সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব দিয়ে চালানো হচ্ছে দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। এ ছাড়াও এই উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কয়েকটি সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য আছে। এ ছাড়া আদমদীঘি উপজেলার অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরির পদও শূণ্য আছে। উপজেলার কয়েকজন অভিভাবক বলেন.ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা প্রায় দিনই উপজেলা সদরে যান দাপ্তরিক কাজ সারতে। এতে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনা বিঘ্নিত হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ জাহেদুর রহমান বলেন, উপজেলার প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ পূরনের জন্য আমরা বিভিন্ন প্রচেষ্ঠা চালিয়েছি। অচিরেই এই সকল প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ পূরনের জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুল ইসলাম দেওয়ান দৈনিক ভোরের দর্পনকে জানান, যে সকল বিদ্যালয়ে প্রধান ও সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে সে সব বিদ্যালয়ের তালিকা উধর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরন করা হয়েছে। বগুড়া
জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাভেদ আখতার এ বিষয়ে জানান, অচিরেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকরা পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক পদে যাবেন, তখন এই সমস্যাটি আশা করছি থাকবে না।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০২/০৪/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়