‘সিটি অব কালারস’ খ্যাত এ শহরে কোটি পর্যটকের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু সিডনি অপেরা হাউস। নতুন বছরকে বরণ করতে এই অপেরা হাউস ও হারবার ব্রিজ থেকে ইতোমধ্যে প্রায় সাত হাজার আতশবাজি ফোটানো হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া তথা ওশেনিয়ার বৃহত্তম ও জনবহুল এই শহরে স্থানীয় সময় ১ জানুয়ারি রাত ১২টায় (বাংলাদেশ সময় ৩১ ডিসেম্বর রাত ৭টা) একের পর এক আতশবাজির ঝলকানি দেখা যায়। খবর সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের।

এদিকে মেলবোর্ন শহরও নতুন বছর উপলক্ষে মেতেছে আনন্দ-উছ্বাসে। সেখানে প্রায় ২০ টন আতশবাজির মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করছে হাজারো মানুষ। শহরের ৩০টি ছাদ ও পাঁচটি গ্রাউন্ড সাইট থেকে এসব আতশবাজি ফোটানো হয়।

আকাশে ছড়িয়ে পড়া সাত রঙ আর জলপ্রতাতে রংধনু রঙের খেলা বাড়ির ছাদ থেকে উপভোগ করেন শহরের বাসিন্দারা। নতুন বছরকে বরণ করতে মেলবোর্ন ভ্রমণে আসা মানুষ ও স্থানীয়রা উল্লাস প্রকাশ করেন।

২৫ বছর বয়সী শারিস এডওয়ার্ডস বলেন, তিনি দারুণ সময় কাটাচ্ছেন। মাইকেল জ্যাকসনের ‘ডন্ট স্টপ টিল ইউ গেট এনাফ’ গানের সঙ্গে নাচতে দেখা গেছে অনেককে। এবার নতুন উদযাপনে বিশ্বে প্রধান প্রধান শহরের মধ্যে সিডনি অন্যতম। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর শহরটিতে সেভাবে নববর্ষ উদযাপন হয়নি। এবার অন্তত ১০ লাখ মানুষ নতুন বছরকে বরণ করবেন। সিডনি কর্তৃপক্ষ এর আগে আশা প্রকাশ করে জানিয়েছিল, ৫০ লাখ মানুষ অনলাইন বা টেলিভিশনে নববর্ষ উদযাপনের আয়োজন উপভোগ করবে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিকে বলা হয় ‘সিটি অব কালারস’। সারা বছরই কোনো না কোনো উৎসব লেগে থাকে এ শহরে। এসব উৎসবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সিডনি অপেরা হাউসের দেয়ালে ও ছাদে খেলা করে বিভিন্ন রঙের আলো। সিডনি বন্দরে অবস্থিত সিডনি অপেরা হাউস অস্ট্রেলিয়ার প্রতীক হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত।