আটকে আছে কুবির নয় শিক্ষকের পদোন্নতি
ঢাকাঃ পদোন্নতির নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নয় শিক্ষক পাননি তাদের কাঙ্খিত পদোন্নতি। পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষকদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন 'ধীরগতি সম্পন্ন'।
পদোন্নতি আটকে থাকা শিক্ষকরা হলেন- পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্যাহ, অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম¯ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন ও অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেব, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহ. আমিনুল ইসলাম আকন্দ, মার্কেটিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকার, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ জাকির ছায়াদউল্লাহ খান এবং রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৬ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সহকারী সচিব মো. সামীম আহসান সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ অধ্যাপক পদে পদোন্নতি/ পদায়নের পরে অধ্যাপক পদে নূন্যতম চার বছর চাকরি এবং স্বীকৃত জার্নালে বিষয়ভিত্তিক গবেষণাধর্মী ২টি নতুন আর্টিকেল প্রকাশের শর্তে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ২য় গ্রেড প্রাপ্ত হবেন।
আবার ২য় গ্রেড প্রাপ্ত অধ্যাপকগণ মোট চাকরিকাল নূন্যতম ২০ বছর এবং ২য় গ্রেডের সর্বশেষ সীমায় পৌঁছানোর ২ বছর পর জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ১ম গ্রেড গ্রাপ্ত হবেন। তবে, এটি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট অধ্যাপকের ২৫% অধ্যাপক পাবেন।
সেই শর্ত অনুযায়ী, গত বছরের ২৯ মে একজন ও ৬ ডিসেম্বর ছয়জন শিক্ষক গ্রেড-২ অধ্যাপক পদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর আবেদন করেন। এছাড়া ২০২১ সালের ১ জুলাই গ্রেড-২ থেকে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতির জন্য আবেদন করেন অধ্যাপক ড. মো. জাকির ছায়াদউল্লাহ খান এবং গত বছরের ১ জুলাই আবেদন করেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, এই পদোন্নতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ তম সিন্ডিকেটে একটি কমিটি করা হয়। সেই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে আছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। এছাড়া সদস্য সচিব হিসেবে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আমিরুল হক চৌধুরী। উক্ত কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান এবং অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামিমুল ইসলাম।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের এ ব্যাপারে বলেন, 'সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুসারে আমরা পদোন্নতির জন্য আবেদন করেছি। তবুও আমাদের এতদিনে পদোন্নতি দেয়া হয়নি। এটা প্রমান করে প্রশাসন গতিশীল না। প্রশাসন যেন এই ব্যাপারে নজর দেয় এবং অতি দ্রুত আমাদের পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান হয়।'
এ বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, 'শুধু এই বিষয় না, প্রশাসনে গতিশীলতা আনার জন্য সবগুলো কাজ দ্রুত গতিতে করা উচিত। না হলে প্রশাসন পিছিয়ে পড়বে। বাকিটা প্রশাসন জানে, কেন তারা দেরি করছে এই বিষয়ে।'
কমিটি হওয়ার পর পাঁচটি সিন্ডিকেট পার হয়ে গেলেও হয়নি তাদের পদন্নোতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও কমিটির সদস্য সচিব মো. আমিরুল হক চৌধুরী এ ব্যাপারে বলেন, 'ভিসি স্যারের অনুমতি ছাড়া কিছু বলতে পারবো না।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, এটার জন্য কমিটি করা হয়েছে। সবকিছুর একটা প্রসেস আছে। প্রসেসের মাধ্যমে কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নিবে। এটা হয়ে যাবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়