অভিযুক্ত শিক্ষকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ায় মানববন্ধন
সুভাষ বিশ্বাস, নীলফামারী।।
উত্তরা শশী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষনের দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ রবিউল ইসলাম প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পাওয়ায় তাকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকাল ১০টায় মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের উত্তরা শশী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।
অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন কালে বলেন, ছাত্রীর শ্লীলতা হানীর দায়ে অভিযুক্ত হয়ে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক মোঃ রবিউল ইসলাম ২ বছর বরখাস্ত ছিলেন। তিনি মুসলেকা দিয়ে অপরাধ ক্ষমা চাইলে মানবিক কারণে তার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে পূণঃরায় সহকারী শিক্ষক হিসাবে চাকুরীতে যোগদান করান ম্যানেজিং কমিটি।
শিক্ষক মোক্তার হোসেন বলেন, সরকারী নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রধান শিক্ষকসহ আরো ৫টি পদের নিয়োগের সমস্ত তথ্য গোপন করে গত ১৫ জুন বিকালে নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গোপন কক্ষে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করে প্রধান শিক্ষক হিসাবে মোঃ রবিউল ইসলামকে নিয়োগ প্রদান করায় অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ভাবিয়ে তুলেছে। প্রায় অর্ধ কোটি টাকার বানিজ্য করেছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, ডিজি প্রতিনিধি মোঃ আব্দুল মতিন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আলী শাহ্রিয়ার। শুধু প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগে ২০ লক্ষ টাকার বাণিজ্য করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেড়েছি। বাকী ৫টি পদে ৫/৭ লক্ষ টাকা করে নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করা হয়েছে। এরকম বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে থাকলে পাঠ দানরত ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত হবেন এবং অভিভাবকরাও এই বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তিতে সংশয় প্রকাশ করবেন। ফলে এক সময় ছাত্র-ছাত্রী শূণ্য হয়ে যেতে পারে বিদ্যালয় থেকে। আমরা একাধিক বার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে শিক্ষক ও অভিভাবকসহ ৩০০ জনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ছিলাম।
উত্তরা শশী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
নীলফামারী সদর উপজেলা উ”চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আলী শাহ্রিয়ার ৬টি পদে নিয়োগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৫ জুন ০৬টি পদে পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক মোঃ রবিউল ইসলাম শাস্তি প্রাপ্ত, অপরাধী না হওয়ায় তাকে পরীক্ষার মাধ্যমে চুড়ান্ত করা হয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
গত ১৫ জুন নীলফামারী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বিকাল ৩টায় প্রধান শিক্ষক, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর, নিরাপত্তা কর্মী, নৈশ প্রহরী, আয়া ও পরিছন্নতা কর্মী পদে গোপনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।