অভিভাবকদের সাথে খারাপ আচরণ, তদন্তে মাউশি
ঢাকার কেরানীগঞ্জে বরিশুর আঞ্চলিক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামানের অবৈধ নিয়োগ, দুর্নীতি, দুঃশাসন, শিক্ষক-অভিভাবকদের সাথে খারাপ আচরণসহ নানান অনিয়মের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা (মাউশি) বোর্ডের দুই সদস্য তদন্ত শুরু করেছেন।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে স্কুলটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তদন্ত কমিটির সদস্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উপ- কলেজ পরিদর্শক রবিউল আলম ও উপ-সহকারী পরিদর্শক লোকমান হোসেন।
পরে কমিটির প্রধান রবিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিকভাবে লিখিত অভিযোগের সত্যতা পেয়ে পরিদর্শনে এসেছি। এখানে এসে ভুক্তভোগী সিনিয়র শিক্ষক-অভিভাবক-ম্যানেজিং কমিটি-সাবেক কমিটির সদস্যদের বক্তব্য শুনেছি। ২৪ জানুয়ারি অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামানকে লিখিত বক্তব্য ও সব কাগজপত্র নিয়ে সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগকারী হাজী মিজানুর রহমান রোমেল, প্রতিষ্ঠানটির সাবেক পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান বাবু, বিদ্যালয় শাখার সিনিয়র শিক্ষক আলী আকবর, খন্দকার আবু বকর, মোস্তাফিজুর রহমানসহ সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ থেকে জানা যায়, অধ্যক্ষ সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের অভিভাবক-সিনিয়র শিক্ষকদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার এবং বর্তমান স্কুল কমিটির যোগসাজশে ফান্ডের টাকার বিভিন্ন অনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছেন। এছাড়াও তিনি নিজে ২০০৫-২০০৮ পর্যন্ত প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ চাকরি ছেড়ে চলে গেলে অধ্যক্ষের পদ শূণ্য হয়। তখন আক্তারুজ্জামান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হন। যা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দাপ্তরিক কাগজপত্রে স্পষ্ট লেখা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি (কলেজ শাখা) ২০১৯ সালে এমপিওভুক্ত হলে তিনি নিজেকে অধ্যক্ষ পরিচয় দিয়ে এমপিওভুক্তিতে নাম লেখান। অভিযোগকারীদের প্রশ্ন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থেকে তিনি পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষ কীভাবে হয়ে গেলেন?
এ বিষয়ে বরিশুর আঞ্চলিক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামানের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না।