অবন্তিকার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায় শিক্ষক নেটওয়ার্ক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটি বর্ণনা করে তারা উল্লেখ করেন, শিক্ষকদের এমন দায়িত্বহীন অন্যায় আচরণে আমরা যারপরনাই ক্ষুব্ধ ও লজ্জিত। রাষ্ট্রীয় ও সরকারি ক্ষমতাকাঠামোর প্রশ্রয়ে এমন অশিক্ষকসুলভ আচরণ অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক চর্চায় পরিণত হয়েছে। শুধু সরকারি দলীয় পরিচয় আর ব্যক্তিগত আনুগত্যের কারণে পদপ্রাপ্ত বা নিয়োগপ্রাপ্ত এসব শিক্ষক ও প্রশাসকদের দাসত্বমূলক আচরণের কারণে সরকার-সমর্থিত ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষক সংগঠনগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমনভাবে জিম্মি করে ফেলেছে, ফলে তারা কোনো প্রকার গণতান্ত্রিক আচরণেরই পরোয়া করে না।
তারা উল্লেখ করেন, অবন্তিকার 'হত্যাকাণ্ড' প্রমাণ করে দিল দলীয়করণের পাটাতন ব্যবহার করে পেশী শক্তিধারী ও অযোগ্যদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে পুরস্কৃত করলে তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে লাগাতার এমন নিপীড়নের উর্বরক্ষেত্রেই পরিণত করতে থাকবে।
তারা মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুগত দলদাস শিক্ষক নিয়োগের চলমান প্রক্রিয়াকে তলিয়ে দেখা, বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় মাস্তানি চালানো ও সরকারের ছত্রছায়ায় এসব অপেশাদার ভূমিকার লাগাতার প্রশ্রয় কেন দেওয়া হচ্ছে প্রভৃতি প্রশ্নের উত্তরের মধ্যেই অবন্তিকার 'কাঠামোগত হত্যাকাণ্ডে'র প্রকৃত সারসত্য লুকিয়ে আছে।
তারা দাবি জানান, বিচারবিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং পূর্বের অভিযোগ দ্রুত তদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা; যৌন হয়রানি, যৌন নিপীড়ন, ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টার মত ফৌজদারি অপরাধের বিচারের দায়িত্ব বিচারালয়ের সে বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে এবং ক্যাম্পাসগুলোতে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলগুলোকে সক্রিয় করতে হবে।
এতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন, অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান, অধ্যাপক মারুফুল ইসলাম, অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, অধ্যাপক আ আল মামুন, সামিনা লুৎফা, মানস চৌধুরী, আর রাজী, রুশাদ ফরিদী প্রমুখ।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪