ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রশাসনিক ভবনের (রেজিস্ট্রার ভবন) আধুনিকায়নের দাবিতে আমরণ অনশনরত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ অসুস্থ হয়ে অচেতন হয়ে পড়েছেন। অনশন পালনের ২৪ ঘণ্টা পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

গত তিনদিন অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর মঙ্গলবার পৌনে ১২ টার দিকে দাবিদাওয়া নিয়ে হাসনাত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করেন। সেখান থেকে বের হয়ে উপাচার্য 'অসহযোগিতামূলক আচরণ’করেছেন দাবি করে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন তিনি। এদিন বেলা ১২ টার দিকে তিনি অনশন শুরু করেন৷

এদিকে, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর আমরণ অনশনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা৷ বুধবার সকাল ১১ দিকে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে এ মানববন্ধন শুরু হয়। এ সময় তারা ১ ঘণ্টার মধ্যে কোন ব্যবস্থা না নিলে গণ অনশনের হুমকিও দেন । বর্তমানে তারা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

মানববন্ধনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আহসান হাবীব লিমন বলেন, আমাদের এ আন্দোলন কোন রাজনৈতিক আন্দোলন নয়৷ আমাদের ৮ দফা দাবি পুরোপুরি যৌক্তিক। হাসনাত ভাইয়ের অবস্থা খুবই খারাপ। ভিসি স্যার কোন ব্যবস্থা না নিলে আমরা গণ অনশনে যাব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. হাফেজা জামান সকাল ১০টার দিকে বলেন, 'এভাবে তো তাকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। প্রায় ১ দিন হয়ে গেছে সে অনশন শুরু করছে। ডাক্তাররা দেখে বলেছেন ওই শিক্ষার্থীর প্রেশার স্বাভাবিকের চাইতে বেশি। সে কোনো রেসপন্স করছে না, কথা বলছে না। এই অবস্থায় তাকে স্যালাইন দেওয়ার সাহসও করা যাচ্ছে না। ওকে খুব দ্রুতই কোনো মেডিক্যালে ভর্তি হতে হবে।’

হাসনাতের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রশাসনিক কার্যক্রম অনতিবিলম্বে ডিজিটালাইজড করা, শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অভিযোগ সেল গঠন, সব অফিস কক্ষে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক সাচিবিক-বিদ্যা, পেশাদারিত্ব, মানসিক ও আচরণগত প্রশিক্ষণ আইন করে বাধ্যতামূলক করা ইত্যাদি।