অনতিবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খুললে ছাত্র সমাজ বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে
অনলাইন ডেস্ক ||
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা ও স্থগিত পরীক্ষা পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। গতকাল ২৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে একযোগে সারা দেশে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ গেইট সংলগ্ন রাস্তায় ব্যানার ফেস্টুন সমন্বয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, সারা দেশে নির্বাচন, মিছিল, মিটিং, সমাবেশ, অফিস, আদালত, গার্মেন্টস, কলকারখানা চলছে স্বাভাবিক গতিতে, অথচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হচ্ছে করোনার অজুহাতে। আমরা জানতে চাই করোনা কি শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিরাজ করছে, নাকি অন্য সকল স্থানেই এর প্রভাব রয়েছে ? যদি অন্য সকল স্থানে করোনার প্রভাব থাকে তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই বৈষম্য কেন? আমরা মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির নিকট আকুল আবেদন করছি, অনতিবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হোক। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলমান যে সকল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে তা পুনরায় চালু করা হোক। আমরা সেশন জট চাই না। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ বন্ধ হয়েছে। করোনার কারণে সকলেই আমরা বিপর্যস্ত হয়েছি। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আজ করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে। করোনাকে জয় করার লক্ষ্যে দেশে আজ করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। তাই আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি করছি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন। নতুবা ছাত্রসমাজ বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ছাত্র অধিকার পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সামিউল প্রধানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র মোঃ মানিক মিয়া, মোঃ আব্রাহাম হোসেন, মোঃ সুমন, মামুনুর রশিদ, আরিফুর রহমান, সফিকুল ইসলাম, রেজানুর রহমান, হাসিবুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা আরো বলেন, আমরা অটোপাস চাই না, আমরা পরীক্ষা দিয়ে আমাদের মেধার বিকাশ ঘটাতে চাই, আমরা আমাদের ক্যাস্পাসে ফিরে যেতে চাই। বর্তমানে শিক্ষা ক্ষেত্রে দ্বৈত নীতিগ্রহণ করায় তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ পূর্বক আরো বলেন, আন্দোলনের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৭টি কলেজের চলমান পরীক্ষার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হলো, অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ চলমান পরীক্ষাসমূহ স্থগিত করা হলো, একদেশে দুই নীতি চলতে পারে না।