‘অধ্যাপক সিতারা পারভীন পুরস্কার’ পেলেন ঢাবির ১১ শিক্ষার্থী
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
১১ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ‘অধ্যাপক সিতারা পারভীন পুরস্কার’ প্রদান করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেস্বর) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইশরাক সাব্বির নির্ঝর, আরউইন আহমেদ মিতু, ইশরাত জাহান প্রমি, জোবায়ের আহমেদ, কৌশিক এইচ হায়দার, মীর সাদ্দাম হোসেন, মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম, আবু নুমায়ের সাদ, তাসনুভা আরেফিন, জান্নাতুল নাঈম পিয়াল এবং তামারা ইয়াসমিন তমা। তাদের সকলকে সর্বমোট ১ লাখ ২৩ হাজার ১৬৭ টাকা এককালীন বৃত্তি প্রদান করা হয়।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মার্জিয়া রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এছাড়া সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, একাডেমিক সফলতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ প্রয়োজন। অধ্যাপক সিতারা পারভীন ছিলেন এমনই অনেকগুলো মূল্যবোধের পরিচায়ক। তার আদর্শ ধারণ করে মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হতে হবে। এই পুরস্কারকে ভালো উদ্যোগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধরণের উদ্যোগগুলোর কিউমুলিটিভ প্রভাব পড়ে। এর মাধ্যমে বাকি শিক্ষার্থীরাও অনুপ্রাণিত হবে এবং নিজেদেরকে উন্নত করতে সচেষ্ট হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহম্মদ বলেন, অধ্যাপক সিতারা পারভীনকে আমরা সরাসরি ক্লাসরুমে পেয়েছি। তিনি একজন শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষক ছিলেন। তিনি ছিলেন মানুষ গড়ার কারিগর। আমার বিশ্বাস পুরস্কারটি শিক্ষার্থীদের জীবনে বড় ধরণের অনুপ্রেরণা হবে। আমরা উনার স্মৃতিকে সমুন্নত রেখে আমাদের উন্নয়নকে অব্যাহত রাখব।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. সিতারা পারভীন ছিলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক। তিনি বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের কন্যা এবং অধ্যাপক ড. আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী। তিনি ২০০৫ সালের ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হন। তার স্মরণে তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি ট্রাস্ট ফান্ড গঠিত হয়। প্রতিবছর এ ফান্ড থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করা সর্বোচ্চ সিজিপিএ-ধারী ১০ জনকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।