অতিরিক্ত ওজনকে গুডবাই জানাবেন যেভাবে
নিউজ ডেস্ক।।
কম সময়ে বেশি ওজন কমাতে চাইলে ভেরি লো ক্যালোরি ডায়েট বা ‘ভিএলসিডি’ এর জুড়ি নেই। পুষ্টিবিদ রোগীর অবস্থা বুঝে খুব হিসেবনিকেশ করে এমন ডায়েট চার্ট বানিয়ে থাকেন। পরিস্থিতি অনুযায়ী কখনও জল বা অন্য লো ক্যালোরি তরলে কেনা পাউডার মিশিয়েও বানানো যায়।
সাধারণ লো ক্যালোরি অর্থাৎ ১০০০–১৬০০ ক্যালোরি ডায়েটের বদলে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনে ভরপুর ৬০০–৮০০ ক্যালোরির ডায়েট খেলে ২–৩ গুণ বেশি ওজন কমবে। মেয়েদের ক্ষেত্রে সপ্তাহে এক থেকে দেড় কেজির মতো কমে, ছেলেদের কমে দেড় থেকে দুই কেজি।
বিশেষ়জ্ঞরা পরামর্শ দেন শ্বাসকষ্ট, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল ইত্যাদি থাকলে বিএমআই ২৭ এর উপরে হলেও খাওয়া যায়। ডায়াবিটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ থাকলে কম খাবারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ওষুধের মাত্রা না কমালে সুগার বা রক্তচাপ অনেক কমে গিয়ে পরিস্থিতি বিপরীত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা আরো পরামর্শ দিয়েছেন, খাবারের পরিমাণ আস্তে আস্তে কমিয়ে ও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পুষ্টি বাড়িয়ে শরীর এই খাবারে অভ্যস্ত হয়ে যায়। তখন শুরু হয় ভিএলসিডি। প্রথম দিকে, যখন ওজন দ্রুত কমে, প্রতি সপ্তাহে অবশ্যই ডাক্তার দেখানো খুবই দরকার।
এঅবস্থায় পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া এক পাও চলা যাবে না। ভিএলসিডি এর পর্ব শেষ হলে এলসিডিতে যেতে হবে অন্তত ৩ মাস। ধীরে ধীরে খাবারে ক্যালোরির পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে হবে এই সময়।
তবে পুষ্টিবিদরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ওজন কমানোর বিষয়ে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ্য করেন যে ৬০০ ক্যালোরি সলিড ডায়েটের ক্ষেত্রে, সকালে মাখন বা জ্যাম ছাড়া ১ টা টোস্ট, ২৫ গ্রাম ছানা/১ টা ডিমের সাদা অংশ (সেদ্ধ বা পোচ করে), ১ কাপ চিনি ছাড়া চা। বেলা ১০–১১ টা নাগাদ মুসাম্বি, আপেল, পেয়ারা, পাকা পেঁপে–র মধ্যে যে কোনও একটা ফল, অন্তত ১০০ গ্রাম। দুপুর ১টায় আধ কাপ ভাত বা একটা ছোট রুটি (২৫ গ্রাম), আধ বাটি ডাল (১৫ গ্রাম) অথবা আধ বাটি টক দই (১০০ গ্রাম), সঙ্গে ছোট মাছ অথবা এক-দু’ টুকরো চিকেন (৩০ গ্রাম), সবুজ তরিতরকারি, স্যালাড।