নিজস্ব প্রতিবেদক :
সরকারি চাকরিজীবী যে কারও স্বপ্ন থাকে, অবসরে গেলে পরিবারের আর্থিক অবস্থা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। চাকরি শেষেই মিলবে পেনশন, যা দিয়ে চলবে তাদের ভবিষ্যৎ। কিন্তু দীর্ঘ ৩৫ বছর সরকারি মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করেও পেনশন পাচ্ছেন না রাজশাহীর আব্দুল খালেক। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে অধিকারবঞ্চিত আব্দুল খালেকের পরিবারকে।
আব্দুল খালেক জানান, ১৯৮৪ সালের ১৭ জুলাই তিনি চাকরিতে যোগদান করেছিলেন। চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যান। চাকরির শুরুতে তিনি যশোরের ঝিকরগাছার থানা মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এরপর দীর্ঘ চাকরি জীবনে তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, কুষ্টিয়া জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দপ্তরের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, যশোর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দপ্তরের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার ব্যবস্থাপক এবং সর্বশেষ রাজশাহী সদরের মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার ব্যবস্থাপক হিসেবে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি জানান, দীর্ঘ চাকরি জীবনে কোনো পদোন্নতি পাননি তিনি। প্রারম্ভিক বেতন ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও পাননি। উন্নয়ন খাতে প্রকল্পের চাকরি ১৯৮৪ সালে শুরু করেন। ১৪ বছর পর ১৯৯৮ সালে রাজস্ব খাতে তাকে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৬ সালে তার চাকরির পদ নিয়মিতকরণ করা হয়। কিন্তু নন-ক্যাডার পদে নিয়োগবিধি না থাকার কারণে চাকরি স্থায়ী করা হয়নি। প্রায় ৩৫ বছর চাকরি করার পরও তার পদ স্থায়ী না হওয়ায় তিনি অবসর ভাতা (পেনশন) থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
আব্দুল খালেকের অভিযোগ, তাদের পরে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ মৎস্য চাষ উন্নয়ন প্রকল্পে নন-ক্যাডার কর্মকর্তা
হিসেবে যারা যোগদান করেছিলেন, তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ হয়েছে। তারা অবসর ভাতাও নিয়মিত পাবেন। কিন্তু একই পদে যোগদান করে সারাজীবন কাজ করেও তিনি অবসর ভাতা পাচ্ছেন না।
চাকরিজীবনে বঙ্গবন্ধু পরিষদের খুলনা বিভাগের অর্থ সম্পাদক, রাজশাহী বিভাগের সহসভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন আব্দুল খালেক। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার দাবি, শেষ জীবনে এসে পরিবার-পরিজন নিয়ে যাতে মানসম্মান নিয়ে বাঁচতে পারেন, সেজন্য পেনশনের ব্যবস্থা করে দিতে।