নিজস্ব প্রতিবেদক।।
১৩ বছর পর অনুষ্ঠিত পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় চট্টগ্রামে ২৯ হাজার ৩৯৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ইংরেজি ভার্সনের শিক্ষার্থী ছিল ৩৩৩ জন। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরের ১৪টি ও ১৫ উপজেলার ২৭টিসহ মোট ৪১টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীরা বাংলা, ইংরেজি, প্রাথমিক গণিত ও প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দেয়। সর্বশেষ ২০০৮ সালে প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
প্রাথমিক শিক্ষা চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম শুক্রবার নগরের বেশ কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘ ১৩ বছর পর আবারও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রতিটি কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। বিভিন্ন উপজেলার কেন্দ্রগুলোতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী শিক্ষা অফিসার ও সংশিতষ্ট স্কুলের শিক্ষকরা দায়িত্বে ছিলেন। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রতিটি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করেছেন।’
কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রিটন কুমার বড়ুয়া, কোতোয়ালী থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. হারুন-উর রশিদসহ শিক্ষা অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা জানান, ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) শুরু হলে বন্ধ হয়ে যায় বৃত্তি পরীক্ষা। পিএসসির ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে তখন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হতো। গত তিন বছর করোনার কারণে পিএসসি পরীক্ষা হয়নি। প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মেধাভিত্তিক সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে মনোনীত করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা।