১১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫৪ কোটি টাকা লোপাট!

ঢাকাঃ দেশের ১১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মই যেন নিয়ম। মার্কেটিংয়ে বিবিএ করা ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রভাষক পদে। আবার বিএ (পাস) পাস করা ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগে। নিয়োগের ক্ষেত্রে যেমন নিয়ম মানা হয়নি, তেমনি তৈল ভাতা, বিদ্যুৎ সিলিং ভাতা, হাউস টিউটর ভাতা, খণ্ডকালীন ভাতা, বিশেষ ভাতা, বদলি ভাতা নামে সুবিধা নিয়েছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি ফরম বিক্রির ৪০ শতাংশ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা দিতে হয়। কিন্তু সেখানে জমা না দিয়ে ফরম বিক্রির পুরো অর্থই ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রয়োজন নেই, তবু বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ও অফিস সরঞ্জাম কিনে ফেলে রাখা হয়েছে খোলা আকাশের নিচে। এভাবে দেশের ১১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫টি খাতে ১৫৪ কোটি টাকা লোপাটের তথ্য বেরিয়ে এসেছে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের বার্ষিক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্বায়ত্বশাসনের নামে সুশাসনের অভাব রয়েছে। সরকারি অর্থ ব্যবস্থাপনা ও অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে অর্থের এই অপচয় হচ্ছে।

১১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের হিসাব নিরীক্ষা করা হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে-ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়।

নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব আর্থিক অনিয়মের মধ্যে যুক্ত আছে আয়কর ও ভ্যাট না কাটা, অতিরিক্ত বেতন-ভাতা দেওয়া, অতিরিক্ত আনুতোষিক ও পেনশন দেওয়া, বিলম্ব জরিমানা না করা, বিধিবহির্ভূত নিয়োগ, নিয়োগবিধি অনুসরণ না করা, হিসাবের গরমিল এবং ডিপিপিবহির্ভূত ব্যয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে রুবাইয়াৎ সাব্বিরকে। তিনি অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ (মার্কেটিং) এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমডি-এমপি করা। তছলিম আহমেদকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক পদে। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (পাস) পাস। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে স্নাতক (সম্মান) করা আক্কাস আলীকে। নিয়োগের সময় তার এই পদের বিপরীতে এমএসসি ডিগ্রি করা ছিল না। শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি করেন।

নিয়োগ বিধি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতক/স্নাতকসহ মাস্টার্স ডিগ্রি চাওয়া হলেও এ ক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটিয়ে ১১ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতন-ভাতা হিসেবে সরকারের ৭৮ লাখ ৯৪ হাজার ৯৬৮ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ বহির্ভূত বিভিন্ন ভাতা যেমন, তৈল ভাতা, বিদ্যুৎ সিলিং ভাতা, যাতায়াত ভাতা, চেয়ারম্যান ভাতা, গবেষণা ভাতা, হাউস টিউটর ভাতা, ছাত্র উপদেষ্টা ভাতা, অন্যান্য ভাতা, খণ্ডকালীন ভাতা, বিশেষ ভাতা, বদলি ভাতা, মহার্ঘ ভাতা এবং প্রেষণ ভাতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোন নিয়মের আলোকে এসব ভাতা দেওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি। বিধিবহির্ভূতভাবে এসব ভাতা দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টির আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৩৭ হাজার ৬০৮ টাকা।

স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তির ফরম বিক্রির ৪০ শতাংশ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা দেওয়ার বিধান থাকলেও হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ফরম বিক্রির টাকা তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ কোটি ৬২ লাখ ৫৫ লাখ ৯৯১ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৯ লাখ ৫৭ হাজার ৬৪৪ টাকা, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ লাখ ২ হাজার ১৬৬ টাকা, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫০ টাকা অর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজন না থাকলেও ৩৮ কোটি ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৯৯ টাকার বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ও অফিস সরঞ্জাম কেনা হয়েছে। এসব সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৬০ বছরের বেশি বয়সিদের চাকরির সুযোগ দিয়ে অতিরিক্ত বেতন-ভাতা, আনুতোষিক এবং পেনশন দিয়েছে। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ২ কোটি ৭৯ লাখ ২৭ হাজার ৭৪ টাকা। নিরীক্ষা সুপারিশে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে এবং আপত্তি করা টাকা আদায় করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা দিতে বলা হয়েছে।

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রকল্পের ব্যাংক হিসাবে রক্ষিত টাকার অর্জিত সুদ সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি। অর্জিত সুদের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দেওয়ায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ৩৮ লাখ ১৬ হাজার ৮৮৮ টাকা।

ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ও গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প শেষ হলেও অব্যয়িত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শেষ হওয়া প্রকল্পের অব্যয়িত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দেওয়ায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৭ কোটি ২৭ লাখ ১৯ হাজার ১৯৪ টাকা।

১১টি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পাওনার অতিরিক্ত দায়িত্ব ভাতা দেওয়ায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা। ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সমপদ বা উচ্চতর পদে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করলে ১০ শতাংশ হারে মাসিক অনধিক ১ হাজার ৫০০ টাকা দায়িত্ব ভাতা পাবেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের ন্যূনতম ২-৪ হাজার টাকা পর্যন্ত দায়িত্ব ভাতা দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা না মেনে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাওনার অতিরিক্ত বই ভাতা দেওয়ায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৪৭ হাজার ৮৫ লাখ ৪০০ টাকা। ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্ধারিত হারের চেয়ে কম হারে বাড়ি ভাড়া ভাতা কাটায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৩০ হাজার ১৯২ টাকা। বিল ভাউচার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী সরকারি বাসায় বসবাসকারীর কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত হারের চেয়ে কম বাড়ি ভাড়া আদায় করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্য করে বরাদ্দহীন খাতে অনিয়মিতভাবে ব্যয় করা হয়েছে ৪ কোটি ৫৫ লাখ ২৯ হাজার ৭১৬ টাকা। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে নির্ধারিত হার অপেক্ষা কম হারে আয়কর কাটায় রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ১২ লাখ ১৬ হাজার ৪০০ টাকা।

বাজেট বরাদ্দ ও ব্যয় হিসাব বিবরণী যাচাই করে দেখা গেছে, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকায় লিঁয়াজো অফিস ভবন মেরামত, সংরক্ষণ ও ভাড়া বাবদ (বাজেটবিহীন) ২৩ লাখ ৩৪ হাজার ৫১৬ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শক্তিশালীকরণ উন্নয়ন প্রকল্পের বিল আইসিটি সেল বিভাগের জন্য ২৩ লাখ ৯৩ হাজার ২০০ টাকার অফিস যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। প্রকল্পের অব্যয়িত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দেওয়ায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ২৯ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৮২ টাকা।

জাতীয় কবি কাজী ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের সোনালী ব্যাংকে সুদবিহীন চলতি হিসাব খোলা হয়েছে। কিন্তু সোনালী ব্যাংকের এসটিডি হিসাবের অব্যয়িত ৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৪০ টাকা সরকারি খাতে জমা দেওয়া হয়নি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া সান্ধ্যকালীন কোর্সের অব্যয়িত ১ কোটি ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ৬৮৬ টাকা এবং অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের ৩টি হিসাবের অব্যয়িত ২৮ কোটি ১৪ লাখ ১ হাজার ৭৫৬ টাকাসহ মোট ২৯ কোটি ৩০ লাখ ৫১ হাজার ৪৪২ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়নি।

প্রকল্প পরিচালক কর্তৃক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান খুলনা শিপইয়ার্ডকে সরাসরি চেকের মাধ্যমে অগ্রিম অর্থ দেওয়ায় এবং তা সমন্বয় না করায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ৬টি চেকের মাধ্যমে খুলনা শিপইয়ার্ডকে অগ্রিম ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা দিয়েছে। এই টাকা খরচের হিসাব হিসাবভুক্ত করা হয়নি।

বরাদ্দ না থাকার পরও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ৬ জন শিক্ষক ও ৬ জন কর্মকর্তার ভবনের তৃতীয় থেকে পঞ্চম তলা সম্প্রসারণ কাজের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্য করে এই অর্থ ব্যয় করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক স্বাধীনতা থাকলেও আর্থিক স্বাধীনতা নেই। জনগণের টাকায় চলে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সুতরাং তাদের নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। আর্থিক অনিয়ম পরিহার করতে হবে। তিনি বলেন, ইউজিসি সবসময় আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে নিরুৎসাহিত করে থাকে। উপাচার্যরা তাদের মেয়াদ শেষের দিকে লোকজন নিয়োগ দিয়ে যায়। আর্থিক অনিয়ম করে। ওই সময় ইউজিসির কিছু করার থাকে না।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবির) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এসব অনিয়মে ক্ষমতার অপব্যবহারের চিত্র উঠে আসে। এসব অনিয়ম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতনদের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া করা সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা নেবে এমনটা আশা করা যায় না। ফলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এ ধরনের প্রতিবেদনে দুর্নীতি-অনিয়ম কমবে না বলেও মনে করেন তিনি। সূত্রঃ সময়ের আলো

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৩/১১/২০২৩ 

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়