হাস মুরগী বিক্রি করার টাকায় মেডিকেলে চান্স পেলেন দেলোয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালীঃ জেলার বাউফলে এক দিনমজুর বাবার ছেলে মেডিকেলে চান্স পাওয়ায় আলোর দিশা খুজে পেয়েছে বাবা মা। শিক্ষার্থীর নাম মোঃ দেলোয়ার হোসেন। সম্প্রতি প্রকাশিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ফলাফলে দেলোয়ারের মেধাক্রম ৩৭০। প্রকাশিত ফলাফল মোতাবেক দেলোয়ার ঢাকা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে। দেলোয়ার উপজেলার নাজিরপুর ইউঃপিঃ‘র সুলতানাবাদ গ্রামের সেলিম মৃধা ও খালেদা বেগমের ছেলে।

দেলোয়ার স্থানীয় নাজিরপুর ছোটডালিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সনে জিপিএ ৫ পেয়ে এবং বরিশাল অমৃতলাল দে কলেজ থেকে ২০২২ সনে এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ন হয়েছে।

জানা গেছে, বাবা মায়ের দু‘ ছেলে ও দু‘ মেয়ের মধ্যে দেলোয়ার সবার ছোট। বাবা দেলোয়ার মৃধা দিনমজুরের কাজ করে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচের যোগান দিতে অনেক সময় অনাহারে অর্ধাহারে দিনকাটাতে হয়েছে। কিন্তু তিনি ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার ব্যাপারে পিছিয়ে থাকেননি। মা খালেদা হাস মুরগী পালন করে তা বাজারে বিক্রি করে পরীক্ষার ফি সহ ছেলে মেয়েদের বায়না পুরন করতেন। বড় ছেলে জাহিদ হাসান ম্যাটস থেকে পাশ করে গত বছর মেডিকেল এ্যসিটেন্ট পদে সরকারী চাকুরীতে যোগদান করেছে। এ বছর ছোট ছেলে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে।

মা খালেদা বলেন “আল্লাহর কাছে লাখকোটি শোকরিয়া। ছেলে ডাঃ হয়ে মানুষের সেবা করবে এটাই আমার ইচ্ছা‘।

নাজিরপুর ছোটডালিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহ প্রধান শিক্ষক ইসরাত জাহান বলেন “দেলোয়ার আমার স্কুলের একজন মেধাবী ছাত্র হিসেবে সহজ সরল এবং সৎ গুনের অধিকারী ছিল, আমি তার ভবিষ্যত মঙ্গল কামনা করি”।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৬/০৩/২০২৩

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়