নোয়াখালীঃ জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ওছখালী খান সাহেব ছৈয়দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে লাগামহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানিয়ে মো. জোবায়ের হোসেন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ওছখালী খান সাহেব ছৈয়দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক থাকা কালীন ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় কারাভোগ করেন। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং তাকে নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বর্তমান ওছখালী খান সাহেব ছৈয়দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষা শূন্যপদে বদলি করা হয়। এই বিদ্যালয়ে যোগদানের পর তিনি দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকেন। বার বার দীর্ঘ সময় ধরে অনুপস্থিত থাকার কারণে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক রাহাতে জান্নাত মোসাম্মদ ফেরদাউস আকতার তাকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাজিরা খাতা দেখে দীর্ঘ তিন মাস তিনি অনুপস্থিত ছিলেন বলে উল্লেখ করেন। ২০২৩ সালে ৪৩ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীর থেকে টিউশন ফি বাবদ ৩ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ ২৯ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে এক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০২২ সালে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে সেশন ফি বাবদ ১ হাজার টাকা করে জমা নিয়ে জনপ্রতি ৪শ’ টাকা করে বিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিয়ে বাকি ৬শ’ টাকা করে মোট ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের পুরাতন শ্রেণিকক্ষের ফ্যান, টেবিল ও চেয়ারসহ আসবাবপত্র বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন মানবজমিনকে বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ভালো খারাপ বিষয়ে সরাসরি জেলা ও বিভাগীয় কর্মকর্তারা দেখভাল করেন।
এদিকে নোয়াখালী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ওছখালী খান সাহেব ছৈয়দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো করা হচ্ছে তা তদন্ত করে সত্যতা পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরিদপ্তরের পরিচালক মো. আজাদ বুলবুল জানান, অভিযোগপত্রটি আসলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৫/১১/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়