নোয়াখালীঃ জেলার সোনাইমুড়ীতে ১২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৮টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
দেড় যুগ ধরে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে উপজেলা শিক্ষা অফিসও। এতে শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কাজেও সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সমস্যা নিরসনে একটি সুপারিশনামা চলতি বছরের গত ২৩শে জুলাই শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে উপজেলা কর্মকর্তার কার্যালয় নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক না থাকায় শ্রেণি কার্যক্রম ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা ব্যাহত হচ্ছে। আমিশাপাড়া ইউনিয়নের বটগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিদ্যালয়ে মাত্র ৩ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান ও শ্রেণি কার্যক্রম। নানাবিধ সমস্যার কারণে অনেক অভিভাবক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সন্তান ভর্তি করাতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রাথমিক (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা কর্মকর্তা এমরান হোসেন বিদ্যালয়ে সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে বলেন, উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নে ১২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৫৮টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। প্রধান শিক্ষকবিহীন বিদ্যালয়গুলোর তালিকা তৈরি করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, গত দেড় বছর পূর্বে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহাবুব আলম অন্যত্র বদলি হলে এই পদটি শূন্য হয়। এরপর থেকে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এমরান হোসেন ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এইসব বিদ্যালয়গুলোতে সহকারীরা প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছে দীর্ঘদিন ধরে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে প্রায় এক যুগ পার হলেও এখন পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ হয়নি।
উপজেলার দেওটি ইউপি’র কুমারঘরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, তার বিদ্যালয়ে মাত্র ২ জন সহকারী শিক্ষক রয়েছেন। এতে পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সোনাইমুড়ী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক সল্পতা দীর্ঘদিনের। এই সমস্যা সমাধান করা জরুরি। সংকট নিরসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নিতে জোর দাবি জানান।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অভিভাবকরা জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষক না থাকায় সিনিয়র সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করায় শিক্ষক শূন্যতা সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক না থাকলে শিক্ষা কার্যক্রম এলোমেলো থাকে। যার ফলে আমাদের সন্তানরা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এর প্রতিকার না হলে এ উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৮/১০/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়