শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ সহপাঠীদের দিয়ে এক মুসলিম শিক্ষার্থীকে শিক্ষিকার চড় মারানোর ঘটনায় ভারতের উত্তর প্রদেশের সেই স্কুলটি বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
চড় মারার এ ঘটনা ঘটেছিল গত বৃহস্পতিবার মুজাফফরনগরের খুব্বাপুর গ্রামের নেহা পাবলিক স্কুলে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘শিক্ষা বিভাগের মানদণ্ড বজায় রাখতে না পারায়’ স্কুলটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।খবর বিবিসি ও এনডিটিভির।
বন্ধ থাকার কারণে স্কুলটির শিক্ষার্থীদের যেন পড়াশোনার ক্ষতি না হয়, সে জন্য তাদেরকে অন্য সরকারি স্কুলগুলোতে কিংবা কাছের অন্য স্কুলে ভর্তির করা হবে বলে জাানান কর্মকর্তারা।
নেহা পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তৃপ্ত ত্যাগী মুসলিম শিক্ষার্থীকে চড় মারার নির্দেশ দিয়েছিলেন। স্কুলটিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষিকা ত্যাগী ৭ বছরের এক মুসলিম শিক্ষার্থীকে থাপ্পড় মারার নির্দেশ দিচ্ছেন অন্য শিক্ষার্থীদেরকে।
তার কথামতো এক এক করে এসে শিশুটিকে চড় মেরে যাচ্ছে। একজন আস্তে চড় দেয়ায় শিক্ষিকা ধমক দিয়ে বলেন, আরও জোরে মারতে। ওই সময় দাঁড়িয়ে থাকা শিশুটি মাথা নিচু করে কাঁদছিল।
শিক্ষিকা তখন বলেন, তার পিঠে মারো। তার মুখ লাল হয়ে যাচ্ছে। ফলে তার পিঠে মারো।
শিক্ষিকা ক্লাসের সবাইকে পাঁচের ঘরের নামতা মুখস্ত করে আসতে বলেছিলেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্কুল বন্ধ থাকলেও ওই শিশু নামতা মুখস্ত করে না আসাতেই দেয়া হয় এই সাজা।
এমন সাজা দেয়ার জন্য শিক্ষিকা ত্যাগী লজ্জিতও নন বলে এনডিটিভিকে এরই মধ্যে জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা পুলিশের কাছে এ ঘটনা রিপোর্ট করেছেন। তবে বলেছেন, তিনি স্কুলটির বিরুদ্ধে কোনো মামলা করবেন না। কিন্তু ওই স্কুলে তার সন্তানকে আর পাঠাবেনও না।
ওদিকে, চড় মারার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল বিতর্ক ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষিকা তৃপ্ত ত্যাগীর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। অনেকেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশ ত্যাগীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তবে এখনও তাকে গ্রেপ্তার করেনি। তৃপ্ত ত্যাগী বলছেন, সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তিনি এমন কাজ করেননি।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৯/০৮/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়