সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি

রাজশাহীঃ সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫-এ উন্নীতকরণ এবং সর্বোচ্চ ফি ২০০ টাকা করার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ‘রাজশাহী জেলা ৩৫ বাস্তবায়ন কমিটি’।

আয়োজকরা জানান, করোনা মহামারির কারণে আমরা দুই বছরের বেশি সময় হারিয়েছি। মাস্টার্স শেষ করতে একজন শিক্ষার্থীর ২৬-২৭ বছর লেগে যাচ্ছে।

একাডেমিক পড়াশোনা করে চাকরি পাওয়া যায় না। চাকরির জন্য আবার নতুনভাবে পড়াশোনা করে প্রস্তুতি নিতে হয়। সরকারি চাকরির আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানো না হলে দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বৃহৎ অংশ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে বলে মন্তব্য করেন তারা।

কর্মসূচিতে বক্তারা চাকরির আবেদন ফি সর্ব্বোচ ২০০ টাকা নির্ধারণ (প্রথম শ্রেণিতে ২০০ টাকা, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১৫০ টাকা, তৃতীয় শ্রেণিতে ১০০ টাকা, চতুর্থ শ্রেণিতে ৫০ টাকা) করার দাবি জানান। প্রয়োজনে সরকারকে ভর্তুকির উদ্যোগ নিতেও আহ্বান জানান তারা।

এ সময় ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের পাতা ৩৩ অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদে বঙ্গবন্ধুর নামে বঙ্গবন্ধু ল কমপ্লেক্স, বঙ্গবন্ধু চেয়ার এবং একটি ম্যুরাল স্থাপনের দাবি জানান তারা।

কর্মসূচিতে সংগঠনটির রাজশাহী জেলা শাখার আহ্বায়ক ইনজামাম-উল-হক বলেন, ‘১০ বছর ধরে আমরা চাকরির বয়স ৩৫ করার জন্য আন্দোলন করছি।

চাকরির আবেদন ফি করা হয়েছে হাজারের ওপরে। যা একটি প্রহসনমূলক ফি। যা ছাত্রসমাজকে ভোগান্তিতে ফেলে। ২০১৮ সালের ইশতেহারে বলা ছিল, চাকরির বয়সসীমা ৩৫ থাকবে। কিন্তু তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।

করোনার কারণে আমাদের দুই-তিন বছর নষ্ট হয়েছে। যার ফলে আমরা চাকরিতে আবেদন করতে পারছি না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় সেশনজটের কারণে স্নাতক/স্নাতকোত্তর শেষ করতে ২৭-২৮ বছর চলে যায়। চাকরির প্রস্তুতি নিতে ৩০ বছর পার হয়ে যায়। তাহলে আমরা চাকরি করব কিভাবে? ভারত এবং পার্শ্ববর্তী দেশে চাকরির বয়সসীমা ৩৫-এর ঊর্ধ্বে। আগামী ৩০ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর আমরা ন্যায্য অধিকার আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

সংগঠনটির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব সাদ বলেন, ‘করোনার কারণে সকল চাকরির বিজ্ঞপ্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন যাদের বয়স ২৭-২৮ ছিল তারা তো চাকরির আবেদন করার কোনো সুযোগ পাননি। আমরা আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দেবেন। আমাদের দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছনোর সুযোগ দিচ্ছে না কিছু কুচক্রীমহল। আমরা প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে দাবিগুলো তার কাছে তুলে ধরব। প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন আমাদের দাবি অযৌক্তিক তাহলে আমরা আর আন্দোলনে যাব না।’

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ ইসলামের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক হারুন। এ সময় প্রায় অর্ধশত আন্দোলনকারী উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৯/০৮/২০২৩   

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়