সম্প্রীতির দেশ গড়ার প্রত্যয় শিক্ষার্থীদের

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার শপথ নিয়েছে হাজারো কোমলমতি শিক্ষার্থী। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের শিক্ষা কর্মসূচির অধীনে ২১তম ‘মুক্তির উৎসবে’ শুক্রবার (৩ মার্চ) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে তারা শপথ গ্রহণ করে।

ছায়ানটের শিল্পীরা এ সময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। সেইসঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর বীরপ্রতীক মেজর জেনারেল (অব.) জামিল ডি আহসান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, ট্রাস্টি সারা যাকের ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ডালিয়া নওশিন শিশুদের শপথবাক্য পাঠ করান।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছি, সামনে আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর তোমরা শিক্ষার্থীরাই হবে। এদেশ একটা সুন্দর দেশ হবে, কেউ না খেয়ে থাকবে না, কেউ অশিক্ষিত থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না, সেই বাংলাদেশ তোমরাই গড়বে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলি, সে চেতনার ভিত্তিতে এ দেশটি হবে গণতান্ত্রিক দেশ। এ দেশে প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে। এ দেশ হবে অসাম্প্রদায়িক। যেখানে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করবে।’

অনুষ্ঠানে এভারেস্ট বিজয়ী প্রথম বাঙ্গালি নারী নিশাত মজুমদার বলেন, ‘তোমাদের মাউন্ট এভারেস্ট হল, আমরা আমাদের দেশটাকে যে স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার কথা বলি, সেটা। সেটা আমাদের সবাইকে কষ্ট করে, পরিশ্রম করে অর্জন করতে হবে।’

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এ বছরের উৎবের শ্লোগান হচ্ছে- ‘আমরা গড়ব সম্প্রীতির বাংলাদেশ’। আমাদের প্রত্যাশা তোমাদের যে প্রতিবেশী ও সহপাঠী রয়েছে, তাদের লিঙ্গ, ধর্ম, জাতি, বিত্ত নির্বিশেষে প্রতিজনকে সমান মর্যাদায় দেখবে। কেউ এ কারণে উপহাস বা অমর্যাদা করলে বা কোনো অনাচার করলে রুখে দাঁড়াবে। এই বৈষম্য ও বিদ্বেষের বিরুদ্ধেই আমরা স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছি। তাই তোমাদের এই অঙ্গীকারের মধ্য দিয়েই সমাজ জেগে উঠবে। এতে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের সম্প্রীতির রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ে উঠবে।’