“শিক্ষা ব্যবস্থাকে শতভাগ ডিজিটালাইজেশন করা হবে”

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে আমরা শিক্ষাদান পদ্ধতি শতভাগ ডিজিটাল করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৩০ সালের মধ্যেই আমরা এসডিজি-৪ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সমর্থ হব।

বুধবার বিকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রণালয় কতৃক আয়োজিত সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ এর জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণকারীদের পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডা. দীপু মনি বলেন, সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি অনন্য উদ্যোগ। আমরা বিশ্বাস করি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশের মাধ্যমে একটি সৃজনশীল জাতি গড়ে উঠবে। আর এই প্রতিযোগিতা দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মেধাবীদের মেধা বিকাশের অনন্য প্লাটফর্ম। চিন্তা চেতনার সবদিক থেকে নতুন মানুষ তৈরি করতে হবে।

এসময় শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, আমরা চাই নতুন প্রজন্মের জন্য বিশ্বমানের প্রযুক্তি শিক্ষা। তাদেরকে সততা নিষ্ঠা ও জনগণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য।এর জন্য নানামুখী কাজ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া সংস্কৃতি, বই পড়ার অভ্যাস এসব কাজে অংশগ্রহণ করাতে হবে। নানারকম সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী কাজে অংশগ্রহণ ও অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে।

সৃজনশীল মেধা অন্বেষণএর জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণকারীদের পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) ড. অরুণা বিশ্বাস, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক প্রমুখ।

২০১৩ সালের ধারাবহিকতা থেকে প্রতিবছর মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে সারাদেশে শুরু হয়। সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ৩টি গ্রুপ ও ৪টি বিষয়ে উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচিত সেরা ১২জন জেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি জেলা হতে ৩টি গ্রুপ ও ৪টি বিষয়ে নির্বাচিত সেরা মোট ১২জন করে বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি বিভাগ হতে ৩টি গ্রুপ ও ৪টি বিষয়ে ১২ জন করে (৮টি বিভাগ ও ঢাকা মহানগর) ১২ ৯=১০৮ জন প্রতিযোগী জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। দেশবরণ্য বিচারকমন্ডলির সদস্যদের রায়ের ভিত্তিতে ৪টি বিষয়ে ১ জন করে ৩ গ্রুপ থেকে মোট ১২ জন বিজয়ীকে জাতীয় পর্যায়ে “বছরের সেরা মেধাবী” নির্বাচন করা হয় ।

উল্লেখ্য, সৃজণশীল মেধা অন্বেষণ এর জাতীয় পর্যায়ে বছরের সেরা ১২ মেধাবী নির্বাচিত হয়েছেন। সেরা ১২ জন শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকেই পাবেন এক লাখ টাকা। কোরিয়া ভ্রমন, গোল্ড মেডেল, সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট, বই এবং ব্যাগ। বাকী ৯৬ জন শিক্ষার্থী প্রত্যেকেই পাবেন বিশ হাজার টাকা, মেডেল, সার্টিফিকেট, বই এবং ব্যাগ