‘শিক্ষার ঘরটা এখন পোক্ত, শিক্ষক-শিক্ষা নড়বড়ে’

ঢাকাঃ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘শিক্ষার ঘরটা এখন পোক্ত, শিক্ষক-শিক্ষা নড়বড়ে। এটা থেকে আমাদের বের হওয়া জরুরি ছিল। শিক্ষার সেই রূপান্তর প্রক্রিয়ার শুরুটা দেখছি আমরা। যে যাত্রা শুরু হয়েছে, সেটা আমাদের শক্ত জায়গায় পৌঁছে নিয়ে যাবে।’

গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে  নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ‘বিশেষ মতবিনিময় সভা’য় একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘রূপান্তর মানেই সাংস্কৃতিক রূপান্তর, বিশাল পরিসর। এটা এক বছর, দুই বছরে হয় না। ২০১৭ সাল থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত এক দশক সময় নেন। যদিও এক দশক একটা রূপান্তর প্রক্রিয়ার জন্য খুব বেশি সময় নয়।’

জ্যেষ্ঠ এ সাংবাদিক আরও বলেন, ‘এ ধারা অব্যাহত রাখতে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো রাজনৈতিক নেতৃত্ব। রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছাড়া কোনো রূপান্তর হবে না, হয়ও না। কেউ যদি বলেন—তত্ত্বাবধায়ক, অমুক-তমুক, তৃতীয় শক্তি। আমি বলবো- তাদের দিয়ে কোনো রূপান্তর সম্ভব নয়। পৃথিবীতে কোথাও তৃতীয় শক্তি, অস্বাভাবিক কিছু বা সামরিক শক্তি দিয়ে রূপান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। কাজেই এ দিকটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’

সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘যে রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে, তা বিশেষজ্ঞদের নিয়েই করা হয়েছে। এখানে দ্বিমত থাকা কিংবা বক্তব্য দেওয়ার কিছু নেই। কিন্তু বাস্তবায়ন পর্যায়ে গেলে অবশ্যই শিক্ষকদের কথাটা মাথায় রাখতে হবে। শিক্ষকরা এটা বাস্তবায়ন করবেন। তাদের প্রশিক্ষণ ও মানসিকতা তৈরিতে মাস্টারপ্ল্যান করে কাজ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সামনে আমাদের জাতীয় নির্বাচন। এ নির্বাচনের কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে মহাপরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছিল, সেটি কিন্তু মাঝপথে আটকে গেছে। শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো করাও সম্ভব হয়নি। সবদিক মাথায় রেখে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হালিম বলেন, ‘একটা জায়গা থেকে তো অবশ্যই পরিবর্তনটা শুরু করতে হবে। আমাদের যাত্রাটা এখান থেকে শুরু হোক। আর পিছিয়ে থাকতে চাই না, অগ্রগামী হতে চাই। এখন কাজ হলো—নতুন শিক্ষাক্রমে যেসব সুবিধা রয়েছে, তা সবাইকে জানাতে-বোঝাতে হবে। কাজটা করার প্রধান দায়িত্ব আমাদের শিক্ষকদের।’

মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এনসিটিবি, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। তাদের মতামত বিবেচনা করে তা কাজে লাগানোর চেষ্টার কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ও এনসিটিবি কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৩/১০/২০২৩     

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়