শিক্ষার উন্নয়নে জাতীয়করণ

সারা বাংলাদেশে প্রায় ২৫ হাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষা  প্রতিষ্ঠান ( স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা)  রয়েছে। এতে প্রায় ৫ লক্ষ শিক্ষক- কর্মচারী রয়েছে। কিন্তু এদের জীবনমান খুবই নিম্নমানের। কারন একজন সহকারী শিক্ষকের বেতন ১২৫০০ টাকা(বিএড ছাড়া) আর  ১৬০০০ টাকা (বিএড থাকলে)। কিন্তু বর্তমান বাজারে এই টাকা অতি সামান্য যা বলার অপেক্ষা রাখে না।  যেখানে একজন ৩য় শ্রেনির সরকারি কর্মচারির মাসে বেতন প্রায় ২০০০০ টাকা।  অথচ শিক্ষার মূল মেরুদণ্ড তৈরি হয় এই মাধ্যমিক স্তরে। কিন্তু শিক্ষকদের মেরুদণ্ডই যেখানে নড়বরে করে দেয়া হচ্ছে সেখানে ভালো শিক্ষা কিভাবে আশা করা যায়? যেখানে একজন সহকারী শিক্ষকের বাড়ি ভাড়া ১০০০ আর চিকিৎসা ভাতা ৫০০, আর ঈদ বোনাস  বেতনের ২৫% যা প্রায় ৩৫০০ টাকা, এই নামে মাত্র বেতনের জন্য মেধাবীরা এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, যার ফলে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন তো এটা ছিলো না। তিনি শিক্ষা দিক্ষায় পরিপূর্ণ একটি সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।  জ্ঞানীরা বলে গিয়েছিলেন  “যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত “। তাই আমাদের দেশমাতা       বঙ্গবন্ধুরকন্যা জননেত্রীর প্রতি মানবিক আবেদন  বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তৈরির ভাঁর যাদের কাধে তুলে দিয়েছেন সেই অসহায় শিক্ষকদের প্রতি একটু সহানুভূতিশীল হোন  যেন আমরা  বর্তমান বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে একটু স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে এবং আপনার সোনার বাংলা তৈরিতে গর্বিত অংশীদার হতে পারি।।।
লেখক-সহকারী শিক্ষক 
মোহাম্মদপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা।