এএসএম আব্দুল্লাহঃ যুগোপযোগী,কর্মমুখী ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা মাদরাসায় না থাকার ফলে ফাজিল কামিল ডিগ্রি অনেকটা অনারারিতেপরিনত হয়েছে। আরবি ও ধর্মীয় জ্ঞানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। জাতীয় শিক্ষানীতির সাথে সমন্বয় না করে নতুন করে আরবিবিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে মাদরাসা শিক্ষাকে আরো অনেক ধাপ পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন কোনো ভাবেই আর মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নসম্ভব হবে না।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের সকল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজগুলোর মত ফাজিল কামিল মাদরাসাও অধিভুক্তহয়েছিল, সেটাই ভালো হতো, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় ও সনদ কলেজ মাদরাসা উভয়ই পেতো, কিন্তু অদূরদর্শী ওঅশিক্ষক আলেম ওলামাগণের দাবির প্রেক্ষিতে নতুন করে আরবি বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে জেনারেল শিক্ষার পথ সংকোচন করা হয়।
ফাজিলে অনার্স চালু হওয়া মাদ্রাসা ছাড়া প্রায় সকল ফাজিল-কামিল মাদ্রাসায় ফাজিল ও কামিলের নিয়মিত শিক্ষার্থী শুন্য। আলিম পাশের পর মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনেকেই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে ,আবার কিছু শিক্ষার্থী ফাজিল অনার্সে ভর্তিহচ্ছে আর বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের খুঁজে খুঁজে ভর্তি ও এদের মাধ্যমে চলছে ফাজিল -কামিল মাদরাসার উচ্চ শিক্ষার পরিবেশ। নামেরসংযুক্তিতে ডিগ্রী মাদরাসা , এম এ মাদরাসা। বাস্তবে এসব মাদরাসায় কখনো ডিগ্রী ,এম এ কিংবা ফাজিল কামিলে ক্লাস হয় না।প্রভাষক ,সহকারী অধ্যাপক ,মোহাদ্দেস , মোফাসসেরগণ বসে বসেই বেতন ভাতা নিচ্ছেন।
কামিল মাদরাসায় ৪৫-৫০ ,ফাজিল মাদরাসায় প্রায় ৪০, আলিম মাদরাসায় ৩০ ও দাখিল মাদ্রাসায় ২৫ জন শিক্ষক কর্মচারীপদ রয়েছে। অথচ সব স্তরের মাদরাসায় এখন দাখিল পর্যন্ত , আর আলিম ফাজিল কামিল মাদরাসায় শুধুমাত্র আলিম পর্যন্তপাঠদান সীমাবদ্ধ রয়েছে। ফাজিল কামিল স্তরের মাদরাসায় অতিরিক্ত ১৫-২০ জন প্রভাষক সহকারী অধ্যাপক কোন পাঠদানকিংবা শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা ছাড়াই বসে বসেই বেতন-ভাতা ভোগ করেছেন। রংপুর বিভাগের দুই শতাধিক মাদরাসার মধ্যেধাপ সাতগড়া কামিল মাদরাসা ছাড়া আর কোন মাদরাসায় কামিল শ্রেণিতে পাঠদান হয় না। তাছাড়া ফাজিল অনার্স চালু থাকারকারণে রংপুরের ধাপ সাতগড়া কামিল মাদরাসায় ফাজিল ক্লাস চালু আছে।
আর বাকি সকল ফাজিল মাদরাসায় ফাজিল ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী নেই , তবে পরীক্ষার্থী কিছু রয়েছে। কামিল মাদরাসারসকল মোহাদ্দেস মোফাসসিরে কেরামগন বিগত ১০/১২ বছরেও কোন ক্লাস করার সুযোগ পাননি।তবে মজার বিষয় হচ্ছে ফাজিলকামিল শ্রেণিতে ভর্তি , হাজিরা রেজিস্ট্রার , রেজিষ্ট্রেশন , পরীক্ষায় অংশগ্রহণসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম আপডেট রয়েছে।
NTRCA কর্তৃক শিক্ষক নিয়োগে সকল মাদরাসাই শুন্য পদের চাহিদা দিয়ে শিক্ষক নিচ্ছেন এবং কর্মচারীর শুন্য পদে নিযোগেরমাধ্যমে জনবল নিচ্ছেন ,কামিল শ্রেণির মুহাদ্দিস মোফাসসিরসহ বিভিন্ন বিভাগের উচ্চ পদে শিক্ষক নিয়োগ লোকাল কমিটির হাতেথাকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছেন ,বাস্তবে এত শিক্ষক কর্মচারীর কোনো প্রয়োজন নেই।
ফাজিল ও কামিল মাদরাসায় প্রভাষক পদ থেকে সহকারী অধ্যাপক এমনকি মোহাদ্দেস মোফাসসির হয়ে উচ্চতর গ্রেডের বেতন-ভাতা ও সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করলেও অনেকে বছরে একটি ক্লাসও করেন না। বছরের পর বছর ক্লাস না করেও সহকারী অধ্যাপক।
দাখিল পাশের পর প্রায় ২৫% মাদ্রাসা শিক্ষার্থী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট , কৃষি ডিপ্লোমা , প্যাথলজিক্যাল ডিপ্লোমাসহ কারিগরিশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হচ্ছে। আবার আলিম পাশের পর বিজ্ঞান বিভাগের ৯০% শিক্ষার্থী কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানভিত্তিকবিভিন্ন বিভাগে চলে যাচ্ছে। মাদরাসা লাইনে ফাজিল কামিলে হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা , গণিত, দর্শন , রসায়ন পদার্থকম্পিউটার ইন্জিনিয়ারিং মেডিকেল কৃষি ইংরেজি সাহিত্য ,ভাষাতত্ব আইন বিভাগ, এমনকি সামাজিক বিজ্ঞানেরও কোন বিষয়সিলেবাসে নেই।যে কারণে মাদরাসা থেকে ৮০% শিক্ষার্থী মাদরাসা থেকে বাইরে চলে যাচ্ছে এবং এটাই বাস্তবতা। শুধু তাইনয়,মাদরাসার হুজুররা জেনারেল বিষয়গুলোকে নিয়ে আগ্রহ দেখান না, তেমনি যোগ্যতা সম্পন্ন জেনারেল কোন শিক্ষকপ্রশাসনিক পদে নিযোগ হোক সেটাও প্রকাশ্যই বিরোধিতা করেন।
তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে ফাজিল অনার্স চালু আছে এমন মাদরাসা ছাড়া বাংলাদেশের সকল ফাজিল -কামিল মাদরাসায় নিয়েনতুন করে ভাবতে হবে।
কিছু প্রস্তাবনা বিবেচনা করা যেতে পারে।
০১। একটি উপজেলায় ১টি ফাজিল মা
০২। মঞ্জুরী বাতিলকৃত মাদরাসার
উল্লেখ্য যে, প্রত্যেক মাদরাসায়
০৩। স্তর বাতিলকৃত মাদরাসার অধ্
০৪। কোন শিক্ষকের বেতন-ভাতা বন্
০৫। স্তর বাতিল সম্ভব না হলে ৫০
০৬। NTRCA কর্তৃক সুপারিশকৃত শি
লেখকঃ মাদরাসা শিক্ষক
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৮/০৮/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
অন্য
০৭। সঠিকভাবে পরিদর্শন কিংবা যা