শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে- ডিজি ড. গোলাম ফারুক

মো: হায়দার আলী : রাজশাহীর জেলা পরিষদের শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান মিলনায়তনে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সার্বিক সহযৌগিতায় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের আয়োজনে প্রতিষ্ঠান প্রধান, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, শিক্ষা কর্মকর্তা, সুধিজনদের নিয়ে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন বিষায়ক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর চেয়ারম্যান ড. মোহা: মোকবুল হোসেনে সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো: গোলাম ফারুক, বিশেষ অথিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক ড. মো: কামাল হোসেন।

স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপ পরিচালক ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী, রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসার মো: নাসির উদ্দিন, অধ্যক্ষ হুমায়ন কবীর মজুমদার, অধ্যক্ষ মো: তাজমুল রহমান, প্রধান শিক্ষক মো: ফরিদ উদ্দিন প্রমূখ।

প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. সৈয়দ মো: গোলাম ফারুক বলেন, শিক্ষার উন্নয়ন ছাড়া অন্য অন্য ক্ষেত্রে উন্নয়ন সম্ভব নয়। শিক্ষার বিনিয়োগ হবে শ্রেষ্ট বিনিয়োগ, পৃথিবীর শ্রেষ্ট শিক্ষক হতে দামীদামী দেশ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন হয় না। নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক যদি ভাল না হয় শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন সম্ভব নয়। শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করা হবে, শিক্ষক, কর্মচারীর শূন্য পদগুলি পূরণ করা হবে। কলেজে গ্রন্থাগারিক পদ সৃষ্টি করা হবে। এমপিও ভুক্ত শিক্ষদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে কাজ করছেন সরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সময় সূচি আঞ্চল ভিক্তি করা হবে। আমি আপনাদের ১ টি চিঠি দিয়ে দিব আপনা বসে ঠিক করে নিবেন। সরকারে ইচ্ছে আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিড ডে মি চালু করা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে মনিটারিং জোরদার করা হবে, আকর্ষিকভাবে প্রতিষ্ঠান গুলিতে পরিদর্শন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া কলেজ শিক্ষকগণ কলেজের অনু উপস্থিত থাকেন এটা করা যাবে না। এব্যপারে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। এটা অনেক অংশে কমে আসছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে একজন শিক্ষকও এভাবে অনু উপস্থিত থাকবে না বলে আমরা গর্ব করে বলতে পারি। নতুন ভবণ নির্মান, সীমানা প্রাচীরসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হবে। ২০২৩ ইং সালের মধ্যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন একাডেমিক ভবণ, আইসিটি ল্যাব হয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধু একযোগে ২২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারী কওে দিয়ে ছিলেন। তারই কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশিকভাবে জাতীয়করণ করছেন আগামীতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতেও পারেন। আপনার আপনাদের উপর অর্পিন দায়িত্ব পালন করে দেখিয়ে দিতে হবে যে শিক্ষকগণই পারেন দেশের উন্নয়ন করতে। দেশকে এগিয়ে নিতে, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে। ##