শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ চাই

এক রাজ বাড়ীতে হাসু ও রাসু নামে ২ জন কর্মচারী ছিল। ২ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রায় সমান। তবে হাসুর বেতন ১০ হাজার আর রাসুর বেতন ৩ হাজার। এভাবে কিছুদিন কেটে গেল। এখন বেতন বাড়ার পালা। হাসু আরজ করল “মহারাজ ! আমার ছেলে মেয়ে ও পরিবার নিয়ে খু-উ-ব কষ্টে দিন কাটে। আরো মাসে ৮ হাজার টাকা ঋণ করে চলি। তাই আমার বেতন……….”

রাসু আরজ করে ” মহারাজ ! আমার খুব কষ্টে দিন কাটে। বেশিরভাগ সময় পান্তা ভাত খাই কখনো কচু,কলমি ও শাক। তাই আমার বেতন……..”

সিদ্ধান্ত নিয়ে হাসুর বেতন দ্বিগুণ করা হয় আর রাসুর বেতন আগের মতোই। রাসু আরজি করলে মালিক বলে ” তোমার তো কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা আছে, কিন্তু হাসুর তো সে ক্ষমতা নেয়, কাজেই…..”।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! স্বাধীন দেশে এ ধরনের বৈষম্য মোটেই কাম্য নয়। তাই দয়া করে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষকে স্মরণীয়-বরণীয় করে রাখতে আপনার পিতার স্বপ্ন সুখী-সমৃদ্ধ, শোষণহীন, বৈষম্যহীন ও ভারসাম্যপূর্ণ একটি সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে টিউশন ফিস সরকারী কোষাগারে জমা নিয়ে অনতিবিলম্বে ‘শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ’ করবেন বলে আমরা আশাবাদী।

লেখক-
– ড. মোঃ শরিফুল ইসলাম
লেকচারার, আইসিটি
দুবাগ স্কুল এন্ড কলেজ
বিয়ানীবাজার, সিলেট।