যশোরঃ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. ফারজানা নাসরিনের যৌতুক মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন স্বামী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা। তবে, রায়ে সংক্ষুব্ধ বাদী উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল এ রায় দেন।
খালাসপ্রাপ্ত মাসুদ রানা পাবনা জেলার সাথিয়া উপজেলার আফতাব নগর গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে। তিনি নীলফামারীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকা অবস্থায় মামলার আসামি হন। বর্তমানে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত (ওএসডি) আছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী রুহিন বালুজ।
বাদী ফারজানা নাসরিন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামের ইকরামুল হকের মেয়ে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, নীলফামারীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানার সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারজানা নাসরিনের। এরপর আগের বিয়ে গোপন করে ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে তাকে বিয়ে করেন মাসুদ রানা। বিয়ের সময় মাসুদ রানাকে ২ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও আরও ৫ লাখ টাকার মালামাল দেন ফারজানার বাবা। কিছুদিন যেতে না যেতেই ঢাকার পূর্বাচলে প্লট ক্রয়ের জন্য স্ত্রী ফারজানার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন মাসুদ। ওই সময় ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয় মাসুদ রানাকে। বাকি টাকার জন্য স্ত্রী ফারজানার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন তিনি।
২০২০ সালের ২৯ আগস্ট শ্বশুরবাড়ি এসে যৌতুক না পেয়ে ফারজানাকে মারপিট করে চলে যান মাসুদ রানা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে একই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন ফারজানা নাসরিন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল আসামি মাসুদ রানাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
এই ব্যাপারে আসামি মাসুদ রানার আইনজীবী রুহিন বালুজ বলেছেন, যৌতুক দাবিতে মারপিটের ঘটনার দিন দেখানো হয়েছে ২০২০ সালের ২৯ আগস্ট। কিন্তু ওইদিন আসামি মাসুদ রানা কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে নীলফামারীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট একটি প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। তাছাড়া সাক্ষীরা একে অপরের বিপরীতমুখী সাক্ষ্য দিয়েছেন। ফলে বিচারক ওই মামলায় আসামি মাসুদ রানাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
অপরদিকে বাদী ড. ফারজানা নাসরিন জানান, এই রায়ে তিনি সন্তুষ্ট নন। এর আগে যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ অন্য একটি মামলায় আসামি মাসুদ রানাকে খালাস দিয়েছেন। ওই মামলায় বাদি উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। উচ্চ আদালত সংশ্লিষ্ট আদালতের কাছে নথি তলব করেছেন। এই মামলায়ও তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/৩১/০৮/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়