পাবনাঃ জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার এক কোচিং সেন্টারে ছেলের জন্য শিক্ষক খুঁজতে যাওয়া নারীকে (২৩) সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌর এলাকার শেরশাহ সড়কের ‘অ্যাম্বিশন কোরিয়ান ল্যাংগুয়েজ কোচিং সেন্টারে’ গত মঙ্গলবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে বলে ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেছেন।
ঘটনার দুদিন পর গত ৩১ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঈশ্বরদী থানায় মামলা করেছেন ওই গৃহবধূ। থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়েরের সঙ্গে সঙ্গে এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ওই গৃহবধূ তার ছেলেকে পড়ানোর জন্য নাহিয়ান ইসলাম নাহিদের কাছে শিক্ষক খুঁজে দেয়ার জন্য বলেন। গত মঙ্গলবার বিকেলে নাহিদ মোবাইল ফোনে ছেলেকে পড়ানোর বিষয়ে আলোচনার জন্য তাকে কোচিং সেন্টারে আসতে বলেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওই তরুণী কোচিং সেন্টারে গিয়ে দেখেন, আরও দুজন অপরিচিত ব্যক্তি বসে আছেন। তিনি ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তরা দরজা বন্ধ করে তার মুখ চেপে ধরেন এবং তিনজনে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে বের করে দেয়া হয়। তিনি বাড়ি ফিরে মা ও স্বামীকে ঘটনা খুলে বলেন।
এ বিষয়ে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে আলাপ করার কারণে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভিকটিম তার মা ও স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে থানায় মামলা করেন। এর পর গভীর রাতে কোচিং সেন্টারের মালিক নাহিয়ান ইসলাম নাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত অজ্ঞাত আরও দুজনকে গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা চলছে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হচ্ছে। নাহিয়ান ইসলাম নাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তসাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০১/০৯/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়