মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ দেশে শিক্ষকতায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করা যাচ্ছে না। সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তার কথা চিন্তার করে অনেকেই শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল নিয়ে সরকারকে ভাবতে হবে। তা না হলে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

বৃহস্পতিবার  সোনারগাঁও হোটেলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) আয়োজনে নতুন শিক্ষাক্রম বিষয়ে মতবিনিময়সভা তিনি একথা বলেন।

নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়নে ৬টি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে বলে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্টরা ২০১৭ সাল থেকে দীর্ঘ সময় নিয়ে এই শিক্ষাক্রম সংস্কারের কাজ করেছেন। বিশ্বের ১০২টি দেশের শিক্ষাক্রম পর্যালোচনা করে এই শিক্ষাক্রম তৈরি করা হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সঙ্গেও নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে এই শিক্ষাক্রমে বেশকিছু সংযোজন ও বিয়োজনের মাধ্যমে অনুমোদন পেয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধিৎসু ও জানার আগ্রহী করে তোলার পাশাপাশি তাদের বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। যা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে।

শুধু বাংলাদেশে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত, ভুটান, নেপাল ও শ্রীলংকাও তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। বিশ্বের ৫১টি দেশের শিক্ষাক্রম রূপান্তরমূলক ও দক্ষতাভিত্তিক করা হয়েছে।

নতুন শিক্ষাক্রমে একমুখী শিক্ষাক্রমও বাস্তবায়ন হবে বলে মন্তব্য করেন দীপু মনি। তিনি বলেন, কারিগরি, মাদরাসা ও স্কুলগুলোতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে।

বর্তমানে শুধু কওমি মাদরাসা এই শিক্ষাক্রমের বাইরে আছে। তবে আমাদের শিক্ষাক্রমের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত করার একটি প্রয়াস চলছে।

মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম। সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এতে অন্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, কলামিস্ট, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালকরা অংশ নেন।

২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল করার পরিকল্পনার কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে এসে তার সরকারের উচ্চ মহল থেকেও সমর্থন পায়। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে উদ্যোগ নেয়া হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সমিতির বিরোধীতায় সেই আলোচনা ও উদ্যোগ মিইয়ে যায়।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৩/১০/২০২৩     

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়