ড. এম এ মাননানঃ একটা জাতির উন্নতির ভিত্তি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে জনগণের জাগ্রত মনুষ্যত্ব, সততা, নিষ্ঠা, কর্মদক্ষতা, পরিশ্রমী-মনোবৃত্তি, সৎ কর্মপ্রবণতা, ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-লিঙ্গ নির্বিশেষে সর্বপ্রকার মানুষের প্রতি ভালোবাসামিশ্রিত শ্রদ্ধাবোধ এবং সর্বোপরি, রাষ্ট্রের আইন-কানুন ও সিস্টেমের প্রতি আনুগত্য। জনগণের মধ্যে এসব আপনাআপনি জন্মায় না। এসব সৃষ্টি হয় সঠিক শিক্ষাব্যবস্থা থেকে। যে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত, সেদেশের মানুষজন এ বৈশিষ্ট্যগুলো শিক্ষাব্যবস্থা থেকেই আয়ত্ত করে নেয়। সঠিক শিক্ষা সঠিক নাগরিক তৈরি করে। আর নাগরিকদের মধ্যেই থাকে শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক, সমাজ-সংস্কারক, সমাজপতি, সমাজ-প্রভাবক, ধর্ম বিশেষজ্ঞ, লেখক, সাহিত্যিক, কবি, কারুশিল্পী, চারুশিল্পী, অভিনয়শিল্পী, রাষ্ট্রপরিচালক, প্রশাসক, আমলা, পলিসিপ্রণেতা, পরিকল্পনাবিদ, ব্যবস্থাপনাবিদ, পরামর্শক, ব্যবসায়ী-শিল্পপতি, আইনবিদ, রাজনীতিক, প্রকৌশলী, স্থপতি, চিকিৎসক, প্রযুক্তিবিদ, কারিগর, কৃষিবিদ, কৃষক, শ্রমিক-কর্মী, জেলে, কামার-কুমার ইত্যাদি। তারাই একটা দেশের/জাতির নাড়ি। তারা সঠিকভাবে তৈরি হয় তখনই, যখন দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় থাকে তাদের গড়ে তোলার সঠিক ও যুগোপযোগী উপাদানগুলো। এসব উপাদান দীর্ঘকাল স্থির থাকে না; পরিবর্তিত হতে থাকে, যখন পরিবর্তন হতে থাকে প্রাকৃতিক-সামাজিক-রাজনৈতিক-বৈশ্বিক পরিবেশে, বিজ্ঞানে, প্রযুক্তিতে এবং মানুষের চিন্তাচেতনার পরিমণ্ডলে। তাই নিত্যগবেষণার মাধ্যমে খুঁজে বের করার প্রয়োজন হয় এসব পরিবর্তনের অনুঘটক ও আউটপুটগুলোকে। আর সেগুলোর আলোকে পরিবর্তন আনতে হয় শিক্ষাব্যবস্থায়। নতুবা শিক্ষাব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়তে বাধ্য হয়। স্থবিরতার মধ্যে এগিয়ে যাওয়ার গতি রুদ্ধ হয়ে পড়ে। গতিশীলতা তার বেগবান গতি হারিয়ে ফেলে। তাই স্থবির শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে গতিশীল নাগরিক গড়ে তোলা অসম্ভব।
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার কী অবস্থা তার বিশদ বিবরণ দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। এ নিয়ে বহু লেখালেখি হয়েছে, হচ্ছে। বহু সেমিনার-কনফারেন্সেও শিক্ষাব্যবস্থার অগণিত চিত্র অঙ্কিত হয়েছে; ভূরি ভূরি পরামর্শ আর সুপারিশ-বিলাস আমরা দেখে আসছি সেই স্বাধীনতা-পূর্ব আমল থেকেই। তাই শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থা যাদের জানা দরকার, তাদের সবারই তা জানা বলেই আমার বিশ্বাস। তবে অবস্থায় নড়ন-চড়ন নেই; সঠিক রাস্তায় ওঠার উদ্যম নেই, এ-ই যা। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা, স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, নূরানি থেকে (আলিয়া/কওমি) কামিল মাদ্রাসা, মেডিকেল-টেকনিক্যাল-সর্বত্র আমরা যুগোপযোগী জ্ঞানের আলোর বিকাশের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছি। সুশিক্ষিত জাতির কাতারে আমাদের অবস্থান কোথায়? শিক্ষার উন্নতি হয়েছে অনেক, বাহ্যিক খোলসে; অন্তর্গত যন্ত্রণা তো রয়েই গেছে। সব প্রকাশ পাচ্ছে সর্বপর্যায়ে শিক্ষা নিয়ে নির্লজ্জ বেসাতিতে, বিদেশ থেকে দক্ষ কর্মী-ব্যবস্থাপক আমদানিতে, বিজ্ঞ-প্রাজ্ঞ প্রকৌশলীর অভাবে মেগা প্রকল্গগুলোতে ভিনদেশি প্রকৌশলীদের কাছ থেকে নিত্য সাহায্য গ্রহণে, জটিল রোগে আক্রান্ত হাজারও অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার জন্য বিদেশ গমনে, চিকিৎসাক্ষেত্রের বড় অংশের সীমাহীন কষ্টদায়ক সেবাবিরোধী আচরণে, নিত্যদিনের দুর্নীতিতে, বেপরোয়া অবৈধ চশমখোর সিন্ডিকেটে, লাগামহীন প্রাতিষ্ঠানিক শোষণে, নদী-খাল-বিল-পুকুর-জলাশয়সহ উন্মুক্ত প্রকৃতির নির্দয় বিনাশে, গ্রামে-গঞ্জে আদিম যুগের কুসংস্কারের প্রত্যাবর্তনে, অভাবনীয় নিষ্ঠুরতা-বর্বরতার নীরব যন্ত্রণায়, হরহামেশা ঠগবাজিতে, পরস্পরের প্রতি অশ্রদ্ধাবোধের বিশাল মহামারিতে, নীরব-ভয়ংকর সাম্প্রদায়িকতায়, নির্মল আনন্দের সাংস্কৃতিক চর্চার বিদায়ে, সততার বিদায়-সম্ভাষণে, অস্তাচলের পথে সৎকর্মের প্রস্থানে, সর্বক্ষেত্রে বিরাজমান অস্থিরতায়, আর ভুলপথে স্বর্গে স্থান পাওয়ার ব্যর্থ উল্লাসে।
এসব থেকে সরে আসা কি অসম্ভব? মোটেও না। দরকার শুধু সংশ্লিষ্টদের নির্মোহ আন্তরিকতা। একবার শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে পারলে, সুশিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারলে, প্রয়োজনে অন্য দেশ থেকে সুশিক্ষিত শিক্ষক/শিক্ষা বিশেষজ্ঞ/শিক্ষা প্রশাসকদের কয়েক বছরের জন্য এনে কাজে লাগাতে পারলে, উন্নতমানের শিক্ষক তৈরি করতে পারলে, আর প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সমাজকে সম্পৃক্ত করে শিক্ষার উন্নত পরিবেশ সৃষ্টি করে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে আমরা সুন্দর-উজ্জ্বল একটি ভবিষ্যতের আশা করতেই পারি। উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি সিঙ্গাপুরের কথা। সে দেশ এক সময় বিদেশ থেকে উন্নতমানের শিক্ষক এনে পুরো শিক্ষাব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। এখন তাদের নিজের শিক্ষকরাই সবকিছু নিজেরাই পরিচালনা করছে। শিক্ষকরাই শিক্ষাব্যবস্থার দেখভাল করছে; অন্য কারও সেখানে প্রবেশাধিকার নেই। মালয়েশিয়াতেও প্রায় একই রকম পলিসি। এমনকি শ্রীলংকাতেও দেখেছি, সরকার শিক্ষাব্যবস্থার দায়িত্ব দিয়েছে শিক্ষকদের হাতে। মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত সর্বত্র অভিজ্ঞ শিক্ষকরাই প্রশাসন চালাচ্ছেন। এমনকি মন্ত্রী-সচিবরাও শিক্ষকতার পেশা থেকে নির্বাচিত। আমলাতন্ত্র সেখানে কোনো বাধা হতে পারে না। কারণ রাষ্ট্রনায়করা সে রকমটা চান না; তারা শিক্ষায় কোনো প্রকার ছাড় দেন না। আমরা কি সে রকম পরিকল্পনা করতে পারি না?
আমাদের বাঁচার জন্য অতি প্রয়োজন খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি নিরাপত্তা, কৃষির বৈচিত্র্যকরণ-সম্প্রসারণ, আর কৃষি-শিল্প সর্বত্র আধুনিক প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার। কৃষিতে আমাদের দরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যাপক ব্যবহার। যেমন দরকার অন্যান্য প্রযুক্তিরও। কৃষি আমাদের বাঁচাবে যুগ যুগ ধরে, যদি আমরা এখন থেকেই গবেষণা শুরু করি উল্লম্বিক (ভার্টিক্যাল) কৃষির আর ব্যবহার শুরু করি রোবোটিক্স, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ড্রোন ইত্যাদির। আর এসবের ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন এমন মানুষদের, যারা এসব ব্যবহারে হবে দক্ষ, যারা করতে পারবে নতুন নতুন গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন আর আবিষ্কার। এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেই, থাকতে হবে নব নব চিন্তাভাবনার অগ্রভাগে। নির্দিষ্ট কয়েকটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকিগুলোতে কারিকুলাম থেকে সাধারণ বিষয় কাটছাঁট করে প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিষয় প্রবর্তন করতে হবে (দু-চারটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থাকতে পারে শুধু সাধারণ বিষয়গুলো শিক্ষা দেওয়ার জন্য, যাতে এগুলোর যে সীমিত চাহিদা আছে তা পূরণ করতে পারে)। দেশের ভেতরে ও বাইরে যে বিষয়গুলোর বিপুল চাহিদা রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও চাহিদা তৈরি হবে, সেগুলোর যুগোপযোগী শিক্ষা দেওয়ার জন্য নতুন বিভাগ খুলতে হবে এবং তার আগে তৈরি করতে হবে প্রশিক্ষিত শিক্ষক। এমনটা যেন না হয় যে, যে বিভাগ নতুন বিষয়ের জন্য নতুন বিভাগ খোলার প্রস্তাব দেবে, তারাই নতুন বিভাগের শিক্ষক হবে। এমনটি এদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রায়ই হয়ে আসছে শুধু ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য। এমনটি হলে নতুন বিষয় প্রবর্তন করার মূল উদ্দেশ্য হিমঘরে চলে যাবে। এরূপ করার জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক নেতৃত্বের টেকসই কমিটমেন্ট।
শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তনের কথা উঠলেই এদেশে কারিকুলাম বদলানোর হিড়িক পড়ে যায়। শিক্ষাব্যবস্থার গোড়াতে যেসব গলদ রয়েছে, সেদিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কারিকুলামের দিকে। কারিকুলাম তো সময়ের ব্যবধানে অবশ্যই বদলাতে হয়। কিন্তু শুধু কারিকুলাম বদলালেই চলবে না, সঠিক অবকাঠামোর পাশাপাশি উপযুক্ত শিক্ষকও তৈরি করতে হবে। হার্ডওয়্যার ভঙ্গুর হলে বিশ্বমানের সফটওয়্যার ধুয়ে খাওয়ালেও যেমন কাজ হবে না, তেমনি বিশ্বশ্রেষ্ঠ হার্ডওয়্যারের ব্যবস্থা করে সঠিক সফটওয়্যারের ব্যবস্থা না করা হলে সেই হার্ডওয়্যার হবে মূল্যহীন। প্রশিক্ষিত শিক্ষকরাই হচ্ছেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য সঠিক সফটওয়্যার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ‘হার্ডওয়্যারে’র অভাব নেই-দালানকোঠা অনেক; যন্ত্রপাতি/ডিভাইসও কম নয়; অনেকগুলোতে মঞ্জুরি কমিশনের হেকেপ প্রকল্পের অধীনে তৈরি হয়েছে মানসম্পন্ন ল্যাব এবং ভার্চুয়াল কনফারেন্স করার উপযোগী কক্ষ। বিগত কয়েক বছরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত ‘কলেজ শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের’ অধীনে অনেক কলেজে অবকাঠামোর অভাব দূর করা হয়েছে। প্রকট অভাব শুধু সঠিক শিক্ষক/প্রশিক্ষক/শিক্ষা-ব্যবস্থাপকের। প্রাথমিক, মাধ্যমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সর্বত্রই এ কথা প্রযোজ্য। আমরা বদলেছি অনেক, বদলানো হয়েছে অনেক কিছু, দৃশ্যমান উন্নতি-প্রগতি আমরা দেখছি অনেক খাতে। কিন্তু দেখছি না বদলানোর কোনো কিছু সেখানে, যেখানে বদলানোটা সর্বাগ্রে জরুরি। কেউ হয়তো বলতে পারেন, কোথায় দেখলেন সেখানে বদলানো হচ্ছে না? সেখানে তো বড় বড় দালান তৈরির জন্য কাঁড়িকাঁড়ি টাকা দেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। নতুন নতুন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ও করা হচ্ছে। জেলায় জেলায় তো অবশ্যই হবে, ঘোষণা হয়েই আছে। সবই ঠিক আছে। আসলে পরিবর্তনের হাওয়াটা লাগছে না ঠিক জায়গায়। বদলানো হচ্ছে কারিকুলাম। কিন্তু ভেবে দেখা হচ্ছে না, এ কারিকুলামে যেসব নতুন বিষয় সংযোজন করা হচ্ছে তার শিক্ষা দেবে কে? তাদের কি সঠিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরুর আগে থেকেই? পরিকল্পনা কোথায়? বাজেট কোথায়? আয়োজন কোথায়? দায়িত্ব কাকে দেওয়া হয়েছে? হয়েছে কি আদৌ? দায়বদ্ধতা আছে কারও? কেউ কি বুঝেশুনে পরিবর্তনের দায়িত্বটা হাতে নিয়েছেন, নাকি শুধুই কথার ফুলঝুরি ছড়িয়ে ‘সভা-সেমিনার’ মাৎ করছেন আমাদের কর্তাব্যক্তিরা? তাদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে দেখি যোগ দেন কিছু আঁতেল বুদ্ধিজীবী, যারা নিজেরাই সম্যক অবহিত নন শিক্ষাব্যবস্থার সব বিষয়ে; শুধু কিছু মুখস্থ করা গৎবাঁধা পরামর্শ ছেড়ে দেন দর্শকদের হাততালি পাওয়ার লক্ষ্যে।
চাকরিদাতাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা যায়, অধিকাংশ গ্র্যাজুয়েটের প্রতিষ্ঠানে কাজ করার দক্ষতা নেই। কেন নেই? কারণ মোদ্দা কথা একটাই-দক্ষতার ধরন বদলে যাচ্ছে। কাজের প্রকৃতির বদল হচ্ছে। কাজ থাকছে, কিন্তু কাজ করার পদ্ধতি আর যন্ত্রপাতির রূপান্তর ঘটছে। কোনো ক্ষেত্রে বর্তমান কাজটাই থাকছে না মানুষের হাতে, চলে যাচ্ছে বা যাবে যন্ত্রের হাতে। তবে সে যন্ত্র পরিচালনার জন্য প্রয়োজন হচ্ছে ‘নতুন’ মানুষ, পুরোনো জ্ঞান নিয়ে এরূপ নতুন মানুষ হওয়া যাবে না। সময় বয়ে যাচ্ছে। ২০১৯-২০ সাল থেকে অভাবনীয় পরিবর্তন বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে। যুগ পালটেছে; প্রয়োজনও পালটাচ্ছে দ্রুত গতিতে। এ পালটানোর প্রক্রিয়ায় শিক্ষা জগতে আনতে হবে বৈপ্লবিক পরির্তন। শুরু করতে হবে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই। তবে তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন উচ্চ শিক্ষাব্যবস্থায়। কারণ সবারই বোধগম্য; উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকেই বেরিয়ে আসবে প্রয়োজনীয়সংখ্যক শিক্ষক। তারাই কাজ করবেন এবং নেতৃত্ব দেবেন প্রাথমিক, মাধ্যমিক আর উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে।
উন্নত বিশ্বের শিক্ষাব্যবস্থার আদল পরিবর্তন থেকে যুগোপযোগী দক্ষ শিক্ষক/প্রশিক্ষক তৈরির ব্যাপারে আমাদের শিখতে হবে অনেক কিছু। শিক্ষক তৈরি আর প্রশিক্ষণের জন্য কাজে লাগাতে হবে ‘জ্ঞান কূটনীতি’ (নলেজ ডিপ্লোম্যাসি)। জ্ঞান কূটনীতির মাধ্যমে ট্রান্সফার করে আনতে হবে অন্য দেশের জ্ঞান। হস্তান্তরিত জ্ঞান এবং আমাদের গবেষকদের নিজস্ব গবেষণার আলোকে সৃষ্টি করতে হবে নিজস্ব জ্ঞান। পরের জ্ঞান আর নিজের জ্ঞান সংমিশ্রণ করে পৌঁছতে হবে উচ্চমার্গে, এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে, তৈরি করতে হবে বিশ্বমানের দক্ষ মানুষ। গড়ে তুলতে হবে উজ্জ্বল এক বাংলাদেশ।
ড. এম এ মাননান : সাবেক উপাচার্য, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৪/১০/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়