নিজস্ব প্রতিবেদক।।
মাদারীপুরে সদর উপজেলায় চারটি পরিবারে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে বাঁশ দিয়ে বেড়া নির্মাণ করেছে প্রতিপক্ষ এক পরিবার। এতে ভুক্তভোগী চার পরিবার তিন দিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এমন ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার নয় নম্বর ব্রিজ সংলগ্ন মধ্য খাগদী এলাকায়। চার পরিবারের যাতায়াতের পথ আটকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন প্রতিপক্ষ এনায়েত হোসেন খোকন ও শিউলি সুলতানা গ্যাংয়ের সদস্যরা।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে সরেজমিন মধ্যে খাগদি এলাকায় ভুক্তভোগী রসিদ খালাসির বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তার বাড়ির চলাচলের রাস্তার মূল গেটের সামনে ৮ ফুট উচ্চতার বাঁশের একটি বেড়া। এতে চারটি পরিবারগত তিন দিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে আছে। ফলে ভুক্তভোগীদের বাড়িতে প্রবেশ করতে হলে কয়েক বাড়ির পেছনে দিয়ে ঘুরে যেতে হয়।
মামলা, স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে সদর উপজেলার শিরখারা এলাকার রশিদ খালাসি খাগদি এলাকার ৯নং ওয়ার্ডে জমি কিনে বসতঘর নির্মাণ করে পরিবার বর্গ নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তিনি ১৩ বছর আগে নিজ বাড়িতে যাতায়াতের পথের জন্য রাস্তা থেকে বাড়ির সীমানা পর্যন্ত ৩৪লিং জমি ক্রয় করেন ইউসুফ মোল্লার তিন ছেলে হাবিবুর, হায়দার ও হুমায়ুনের থেকে। দলিলের চৌহদ্দিতে উল্লেখ আছে পশ্চিম থেকে পূর্ব পাশে রয়েছে শাহাদাত তালুকদার, পূর্বে সরকারি খাল, দক্ষিণে মিজান গ্যাং, পশ্চিমে গ্রহীতা নিজেই। কিন্তু গেল শুক্রবার রাতে পাশ্ববর্তী এনায়েত হোসেন খোকন ও শিউলি সুলতানা গ্যাংরা বাঁশের বেড়া দিয়ে বাড়ির প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেন। চারটি পরিবার তিনদিন যাবৎ অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল, শাহাদাত, আরিফা, হুমায়ুন, কবির, আজিজুল বলেন, এনাদের ঝামেলা দীর্ঘদিনের যাবৎ। এখানে কেউ কারো ছাড় দিচ্ছে না। খোকনদের লোকজন বেশি থাকায় রশিদ খালাসি তাদের সঙ্গে পেরে উঠছে না। আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে এটা সঠিক সমাধান চাই।
ভুক্তভোগী রশিদ খালাসি বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছর আমরা এই স্থানে বাস করছি। জমির চোহাদ্দী অনুযায়ী এই যাতায়াতের স্থান আমাদের। সম্পূর্ণ জোর করে তারা আমাদের বাড়ির প্রবেশদ্বার আটকে দিয়েছেন। যার ফলে আমরা সহ আরও চারটি পরিবার বর্তমানে অবরুদ্ধ আছি। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
অভিযুক্ত শিউলি সুলতান বলেন, আমাদের কোনো চৌহদ্দীর প্রয়োজন নেই। এই ওয়ার্ডের কমিশনার ও স্হানীয় মাদবর সাজু মুন্সির হুকুমে পথ আটকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সাজু মুন্সি বলেন, আমরা ১০ জনের সঙ্গে শিউলিদের জমি দিয়েছি। তবে আমার ও রশিদ খালাসির মধ্যে ঝামেলা আছে। আমার মাধ্যমে শিউলিদের সঙ্গে সমাধান করতে বলেছি। সে আমার সঙ্গে মিল করে না আবার শিউলিদের সঙ্গেও মিল করে না। এ কারণেই শিউলিরা একাই ভোগ করতে চাইছে। আমাদের আবার ডাকলে সেই সময় বলবো তোমাদের কাজটা ঠিক হয়নি।
এব্যাপারে স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিল আইয়ুব খান বলেন, আমি ঢাকায় আছি। তবে মানুষের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেওয়া, কখনোই কাম্য নয়। বিষয়টা শুনে আমি সঙ্গে সঙ্গে শিউলি গ্যাংকে বলেছি দ্রুত বাঁশের বেড়া খুলে দিতে। আর শালিসরা তাদেরকে বেড়া দিতে বলেছে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। সাধারণ মানুষ জমিজমা নিয়ে ঝামেলায় পরলে তা সমাধান করার চেষ্টা করি।ঢাকা পোষ্ট
মাদারীপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৪/১১/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়