রাবি: ছাত্রলীগ নেতাসহ ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ

রাজশাহীঃ সাড়ে সাত বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যদিও প্রতি ছয় মাসে অন্তত একবার এ কমিটির সভা হওয়ার কথা। মঙ্গলবার সকালে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনে এ সভা হয়। এতে চার ছাত্রলীগ নেতাসহ ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। আগামী সিন্ডিকেট সভায় এ সুপারিশ পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শৃঙ্খলা কমিটি ১ জনকে স্থায়ী ও বাকি ১০ জনের ছাত্রত্ব সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে। শৃঙ্খলা কমিটির একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করা শর্তে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থায়ী বহিষ্কৃত আশিকুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সাময়িক বহিষ্কৃত ৪ ছাত্রলীগ নেতা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহ-সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম শান্ত, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখার সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সোলাইমান এবং আইবিএ ছাত্রলীগের সভাপতি আবু সিনহা। এছাড়া ২০২১-২২ সালের ভর্তি জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ইয়াসির আরাফাত, নজরুল, মাহিন, শাফিউল্লাহ, আলিফ ও শিশিরকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা মামলা চলমান রয়েছে।

জানা গেছে, ২০২২ সালে আশিকুল্লাহ বিরুদ্ধে ওই বিভাগের এক শিক্ষিকার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠে। সেসময় তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল। চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত শান্তর বিরুদ্ধে। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে চলতি বছরের গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী কৃষ্ণ রায়কে মারধর ও শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি দেয় নাঈম ও সোলাইমান। অনাবাসিক শিক্ষার্থী হওয়ায় তাদেরকে দ্রুত হল থেকে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স বিভাগের এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে আবু সিনহা। এছাড়া বিভিন্ন অভিযোগে কয়েকজনকে সতর্ক করা হয়েছে।

শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর আজকে শৃঙ্খলা কমিটির সভা হয়েছে। আগামী সিন্ডিকেট সভায় বিষয়গুলো উত্থাপন করে বিস্তারিত জানানো হবে।’

কমিটির শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অপরাধের শাস্তির বিষয়টি নির্ধারিত হয় শৃঙ্খলা কমিটির সভায়। ছয় মাসে অন্তত একবার এই কমিটির সভা হওয়ার কথা। পদাধিকারবলে কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন উপাচার্য এবং সদস্যসচিবের দায়িত্বে থাকেন প্রক্টর। তবে গত ১৪ বছরে সভা হয়েছে মাত্র দুটি। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৮/১০/২০২৩   

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়