নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজবাড়ীঃ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কেউ ছুটিতে আবার কেউ কেউ নেই অফিসে। সরকারিভাবে শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে তিন দিনের কর্মসূচি থাকলেও তা পালন করা হয়নি।
জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ পালনের জন্য বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও বিদ্যালয় পর্যায়ে তিন দিনের কর্মসূচি প্রণয়ন করে প্রথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দিন স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠানো হয় গত ২ মার্চ তারিখে। তিন দিনের কর্মসূচির মধ্যে ছিল ১২ মার্চ দপ্তর এবং প্রতিষ্ঠানসমূহে ব্যানার ও পোস্টার দ্বারা সজ্জিতকরণ। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পিটিআই বা জেলা সদরের স্থানে সুবিধাজনক স্থানে সরাসরি সম্প্রচার। ১৩ মার্চ জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ এর প্রতিপাদ্য বিষয়ে জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন এবং বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিবর্গের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা এবং ১৪ মার্চ শিক্ষা মেলা, উপকরণ প্রদর্শনী, শিক্ষামূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সমাপনী।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে গিয়ে অফিসের দুইজন কর্মচারীকে পাওয়া যায়। তারা হলেন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর জাকির হোসেন মোল্লা এবং কম্পিউটার অপারেটর মফিজুর রহমান। জাকির হোসেন মোল্লা জানান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অহিন্দ্র কুমার মন্ডল বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা টুর্নামেন্টের জন্য ঢাকায় গেছেন। সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম তৈফিকুর রহমান স্কুল পরিদর্শনে বাইরে গেছেন। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ পালনের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, একটা আলোচনা সভা হয়েছে। অনুষ্ঠানের কোনো চিঠি আছে কীনা জানতে চাইলে বলেন, কোন ফাইলে আছে তা তিনি জানেন না।
অফিসের উচ্চমান সহকারী সহিদুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ছুটিতে আছি। এটা এডিপিও সাহেব বলতে পারেন।
সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম তৈফিকুর রহমান বলেন, শিক্ষা সপ্তাহের কর্মসূচি উপজেলা পর্যায়ে পালিত হয়েছে। জেলা পর্যায়ে তেমন কোনো প্রোগ্রাম করা হয়নি। এমনি আলোচনা সভা হয়েছে। এখন (মঙ্গলবার দুপুর ১টা) তিনি গোয়ালন্দে আছেন বলে জানান।
৫৭ নং জ্বর লক্ষীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও পাংশা উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি জহুরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আমাদেরকে জেলা শিক্ষা অফিসে ডাকা হয়নি এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।
নাস প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রধান শিক্ষক বলেন, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের মেলা না হওয়াটা হতাশাজনক, জানিনা কেন কি কারনে মেলা হয়নি। এ উপলক্ষে অনেক বিদ্যালয় উপকরণ তৈরি করেছিল, তাদের কষ্টটা বিফলে গেল।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অহীন্দ্র কুমার মন্ডলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ‘আমি মেডিকেলে ব্যস্ত আছি’ বলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরবর্তীতে অন্য নম্বর থেকে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি ১৫ মার্চ বিকেলে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো: নজরুল বলেন, ১৪ মার্চ শিক্ষা সপ্তাহের শেষ দিন ছিল। রাজবাড়ীতে কেন আয়োজন করা হয়নি সে বিষয়ে খোঁজ নেয়া হবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৬/০৩/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়