যে প্রশ্নগুলোর উত্তরের মধ্যেই আটকে আছে মাধ্যমিক শিক্ষকদের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

১। বাসমাশিসের নের্তৃত্ব কি সাধারন শিক্ষকদের ভোটে কখনও নির্ধারিত হয়েছিল?

২। বাসমাশিস কি অন্যান্য সফল সংগঠনের ন্যায় যেমন বিএমএ, নার্সদের সংগঠন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংগঠন, সরকারি কলেজের সংগঠনের ন্যায় তাদের দাবি ও অধিকার আদায়ে কঠোর কর্মসুঁচি দিয়েছিল??
৩। কর্মসুঁচি দিতে না পারার কারন কি ঐটাই যে নেতাদের নেতা হতে সাধারন শিক্ষকদের সমর্থনের প্রয়োজন হয় না বিদায় তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই??
৪। সাধারণ শিক্ষকদের সমর্থন ছাড়া নির্বাচিত ও অনির্বাচিত নেতা হওয়ার সুযোগ কি মাউশি ভবন থেকে করে দেয়?
৫। তাহলে ভবনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা যারা তাদেরকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নেতা হতে সাহায্য করে তারাই কি চান না আমাদের দাবিগুলো পুরন হউক ??
৬। তাহলে কি শর্ষের মধ্যে ভুত আছে?

প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ এই যখন বাস্তবতা তখন আমাদের এটাই বুঝতে হবে এই অচলাবস্তার মুল কারন মহান সংবিধানকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারি মিলে একত্রে সমিতি করার কারনেই এই সুযোগ তারা করে নিয়েছে। কাজেই আমাদেরকে কিছু করতে হলে এখানেই সংশোধনী আনতে হবে। এটাই চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিতে হবে। এছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নাই। থাকলে-ও তা- অনেক জটিল।

প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ, এই জায়গাতে আমার পরামর্শ বাসমাশিস নির্বাচন যদি জাতীয় সংবিধান অনুসরণ করে আয়োজন করা না হয়, তাহলে আমরা আদালতের মাধ্যমে তা বন্ধ করে দিতে হবে। এর পর আমরা শুধুমাত্র সহকারি শিক্ষকদের দিয়ে বাসমাশিসের ৬৪ জেলা কমিটি করে অতঃপর প্রত্যেক জেলার ১০ – ২০ জন ডেলিকেট সদস্য নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে রাজনৈতিক ,বুদ্ধিজীবী, আমলাদের উপস্থিতিতে বাসমাশিসের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করবো। যে আমাদের সমস্যাগুলো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপেই সমাধান করতে হবে সেহুতু এটাই আমার নিকট অধিকতর সহজ এবং কার্যকর হবে বলে মনে করি। এটা আমার একার পক্ষে সম্ভব হবে না। আপনারা যদি এগিয়ে আসেন তখনই চেষ্টা করব।

(লেখাটি বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির যগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ আলী বেলাল এর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেয়া)