মোড়েলগঞ্জে শ্রেণীকক্ষ সংকটে ঝুঁকিপূর্ন ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

এম.পলাশ শরীফ, মোড়েলগঞ্জ থেকে।।
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণীকক্ষ সংকটে ঝুঁকিপূর্ন ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। সংস্কারের নামে ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্ধ পেলেও সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজন নতুন ভবন।

সরেজমিনে জানাগেছে, ৬১ নং শৌলখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৫১ সালে স্থাপিত। ১৯৯১ সালে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট নিমির্ত পাকা ভবনে অফিস কক্ষ রয়েছে ১টি রুমে বাকি ৩টি শ্রেণীকক্ষ। ১৬৫ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিদ্যালয়টি সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে ৫ম শ্রেণীর কক্ষটি জরার্জীণ পলেস্তরা খসে খসে পড়ছে। ভবনের ওই কক্ষের গ্রেড ভিম ভেঙ্গে বের হয়ে গেছে লোহার রড। এর মধ্যেও ঝুঁকিনিয়ে ক্লাশ করতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। রয়েছে শ্রেণীকক্ষের সংকট। শিক্ষার্থী রয়েছে প্রাক-প্রাথমিকে ২৯ জন, প্রথম শ্রেণীতে ৩০, ২য় শ্রেণীতে ২৯, ৩য় শ্রেণীতে ২৯, ৪র্থ শ্রেণীতে ২৯ ও ৫ম শ্রেণীতে রয়েছে ১৯ জন। বিদ্যালয়টি থেকে ২০১৭ সালে ৫ম শ্রেণীতে সাধারণ বৃত্তি লাভ করে ৪ জন। প্রধান শিক্ষক সহ সহকারি শিক্ষিকা রয়েছে ৫ জন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসের তালিকায় বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ন নাম না থাকলেও বাস্তবে রয়েছে অধিক ঝুঁকিপূর্ন।

২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ক্ষুদ্র মেরামতের সংস্কারের জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্ধ পেয়ে সে টাকা থেকে নির্মাণ করা হয়েছে ২ কক্ষের একটি টিন সেড ঘর। ফ্লোর করা হয়েছে পাকা সাময়িকী সংকট নিরাসনের জন্য নির্মিত টিন শেটের কক্ষ দুটিতে ২য় ও ৫ম শ্রেণীর প্রথম সিফটের ক্লাশ ও ২য় সিফটে ওই কক্ষই বসে ৫ম ও ৩য় শ্রেণীর ক্লাশ।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহানাজ বেগম জানান, দীর্ঘদিন ধরে শ্রেণী কক্ষ সংকটে রয়েছে বিদ্যালয়টি। সাময়িকী সমাধান হলেও এ বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবনের প্রয়োজন। ইতোমধ্যে লিখিতভাবে আবেদনও করা হয়েছে।

এ সর্ম্পকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশিষ কুমার নন্দী বলেন, এ উপজেলায় ৬০টি বিদ্যালয়ে নতুন ভবনের বরাদ্ধ এসেছে। চলমান রয়েছে ১০টি বিদ্যালয়ের কাজ। চাহিদার ক্ষেত্রে অপ্রতুল উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে অবহিত করা হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে বরাদ্ধ আসবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। #