আইসিটি একটি ব্যবহারিক বিষয়। যথেষ্ট অনুশীলনের সুযোগ ছাড়া এ বিষয়ের অধ্যায়গুলো অনুধাবন করা খুবই কঠিন। কারণ, বিষয়টি হচ্ছে একটি যন্ত্রের উপর শিক্ষা গ্রহণ, যা পড়ে মনে রাখা যায় না। সেকারণেই দেখা যায়, বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় এই বিষয়টিতে পাস করার জন্য আইসিটি শিক্ষকের বাসায় ৯ম শ্রেণির শুরু থেকেই প্রাইভেট পড়া শুরু করে।
তাদের মনে ভয় থাকে, স্যারে যদি প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেন! আর এভাবেই গত কয়েক বছরে কোনো কোনো আইসিটি শিক্ষক লাখ লাখ টাকার মালিক হয়েছেন। বর্তমানে যারা আইসিটি শিক্ষক হিসাবে আছেন ছাত্র জীবনে তাদের অনেকেরই এই বিষয়টি ছিল না। তারা হয়তো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে একটি কোর্স শেষ করে, সেই সনদ দেখিয়ে আইসিটি শিক্ষক হিসেবে চাকরি করছেন।
যেহেতু আইসিটি বিষয়টি কঠিন, তাই এটা ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত আবশ্যিক বিষয় হিসাবে রাখা যেতে পারে। ৯ম শ্রেণি থেকে এটা ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে দেওয়া যেতে পারে। যারা আইসিটি পড়তে ইচ্ছুক তারা শিখবে। বর্তমানে অনেক আইসিটি ইনস্টিটিউট আছে, যেখানে অনেকেই আইসিটি বিষয়টি ভালোভাবে শিখছে।
হাই স্কুলগুলোতে বিষয়টি আবশ্যিক হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রাক্টিক্যালি শেখার সুযোগ খুব কম। এ অবস্থায় লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীকে আইসিটি বিষয়ে ভালোভাবে শেখার সুযোগ সৃষ্টি না করে, কেবল ব্যবহারিক পরীক্ষার ভয়ে হাজার হাজার টাকা খরচ করতে যেন না হয় সেই দিকে সদয় দৃষ্টিপাত করার মোক্ষম সময় এখনই।
মো. আতিকুর রহমান খান
সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক, উজান গোবিন্দী বিনাইরচর উচ্চ বিদ্যালয়, দুপ্তারা, নারায়ণগঞ্জ।