ঢাকাঃ চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (সেসিপ) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে অংশ নিয়েছেন প্রায় সাতশো কর্মকর্তা-কর্মচারী।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর চত্বরে জড়ো হয়ে অবস্থান নেন তারা। বিকেল ৫টা পর্যন্ত তারা সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছেন। এসময় তাদের হাতে দাবি-দাওয়া সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন দেখা গেছে।
সেসিপ কর্মকর্তারা বলেন, ১ হাজার ১৮৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাজস্বভুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সেসিপ কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাসচিবসহ অন্যরা আমাদের দাবি-দাওয়া যৌক্তিক বলে আসছেন। উনারা যদি দায়িত্ব নিয়ে চেষ্টা করেন অবশ্যই আমাদের চাকরি রাজস্বখাতে নেওয়া সম্ভব। দাবি পূরণে আমরা সুনির্দিষ্ট আশ্বাস চাই।
সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ সভাপতি আব্দুল হাকিম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তদারকি থেকে শুরু করে শিক্ষক প্রশিক্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ সেসিপ কর্মকর্তারা করেন। অথচ এ জনবল রাজস্ব খাতে না নিয়ে প্রকল্পভিত্তিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে।
তিনি বলেন, সেসিপের জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত না হলে আগামী বছরের ১ জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন চাকরি করে বহু প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করার পরও শেষ বয়সে চাকরি নিয়ে হতাশায় দিন পার করছি আমরা।
সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শামীমা ফেরদৌসি বলেন, ১৫-২০ বছর মাঠপর্যায়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে আমাদের। অথচ এখন অভিজ্ঞ এ জনবলকে বাদ দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। আমাদের চাকরি স্থায়ী করতে হবে, রাজস্ব খাতে নিতে হবে। এ দাবি পূরণ না করলে আমরা ঘরে ফিরবো না।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৩/১০/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়