মাউশিতে পদোন্নতির চাবি সিন্ডিকেটের হাতে

নিউজ ডেস্ক।।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কর্মচারীদের স্থায়ী জ্যেষ্ঠতার তালিকা নেই। পদোন্নতির সময় হলেই সাময়িক একটি তালিকা করা হয়। ‘সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা’ পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রেও তেমনটি করেছে মাউশি কর্তৃপক্ষ। এ কারণে এবারও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। মেধার ভিত্তিতে চাকরিতে যোগ দেওয়া জ্যেষ্ঠ অনেক প্রার্থীই পদোন্নতির তালিকায় কনিষ্ঠদের পেছনে পড়ে গেছেন।

এখানেই শেষ নয়, মাউশির পদোন্নতি প্রস্তাবে রয়েছেন সংস্থাটির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সনদ জালিয়াতিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযুক্ত দুজন কর্মচারী। আবার পদোন্নতির তালিকা প্রণয়ন ও যাচাই-বাছাই করার জন্য মাউশি চার সদস্যের যে কমিটি গঠন করে দিয়েছে, সে চারজনই রয়েছেন পদোন্নতির তালিকায়। আবার শিক্ষা ছুটি ছাড়া প্রার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সনদপত্র অর্থ বাণিজ্যের উদাহরণ বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র জানিয়েছে, মাউশির আওতাধীন উপজেলা পর্যায়ের সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ৯৯টি শূন্যপদের পদোন্নতির কার্যক্রম চলমান। কিন্তু স্থায়ী জ্যেষ্ঠতার তালিকা না থাকায় পদোন্নতি ঘিরে ‘সিন্ডিকেট’ তৈরি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সিন্ডিকেটের পছন্দের কর্মচারীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি জ্যেষ্ঠতার তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। যেখানে মাউশির আওতাধীন অফিস বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত সম-গ্রেডভুক্ত ৭০ শতাংশ কর্মচারীর নাম নেই।

সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও কর্মচারী (জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি) বিধিমালা-২০১১-এর ৯-এর (১) ও (২) ধারা অনুযায়ী, জ্যেষ্ঠতার খসড়া তালিকা প্রণয়ন করে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করতে হবে। এ বিষয়ে কারও আপত্তি, অভিযোগ, পরামর্শ থাকলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত আকারে জানাতে হবে। আর ৯-এর (৩) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কর্তৃপক্ষ উপবিধি (২)-এর অধীন প্রাপ্ত কোনো আপত্তি, অভিযোগ, পরামর্শ যথাযথ শুনানি ও নিষ্পত্তি করত চূড়ান্তভাবে জ্যেষ্ঠতা তালিকা প্রকাশ করিবে।’

মাউশি জ্যেষ্ঠতার খসড়া তালিকা প্রকাশের পর শতাধিক কর্মচারী বিধিবিধানের আলোকে জ্যেষ্ঠতা তালিকা সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। সে আবেদনগুলো মাউশি আমলে না নিয়ে একতরফাভাবে জ্যেষ্ঠতার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মাউশি সূত্র জানিয়েছে, কর্মচারীদের বিএড (ব্যাচেলর অব এডুকেশন) ও মাস্টার্স কোর্সে ভর্তির অনুমতি, পদোন্নতির জন্য জমা দেওয়া সনদপত্র যাচাই, দুদক থেকে না-দাবি প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করার জন্য নরসিংদীর পলাশের মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের মহাসচিব মো. বেল্লাল হোসেন, পরিষদের অতিরিক্ত মহাসচিব ও মাউশির উচ্চমান সহকারী নজমুল হোসেন, মাউশির হিসাবরক্ষক কাজী মো. মহসিন এবং উচ্চমান সহকারী (অডিটর) মো. আবদুর রহিমের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ আর্থিক বাণিজ্য করেছে। এর মাধ্যমে ৮৬ জন কর্মচারীর পদোন্নতির প্রস্তাব মাউশি থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেই তালিকায় বিএড ডিগ্রি গ্রহণের অবৈধ অনুমতিপ্রাপ্ত কর্মচারীদের পাশাপাশি ইউজিসির কালো তালিকাভুক্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদধারী কর্মচারীদেরও নাম রয়েছে।

এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে নোয়াখালীর সেনবাগ সরকারি কলেজের প্রধান সহকারী সৈয়দ লিয়াকত আলী প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন। অন্যদিকে, সৈয়দ লিয়াকত আলী এবং মাউশি আওতাধীন কুমিল্লা অঞ্চল উপপরিচালকের কার্যালয়ের সাঁটলিপিকার মো. অহিদুর রহমান বিধি মোতাবেক একটি ত্রুটিমুক্ত স্থায়ী জ্যেষ্ঠতার তালিকা তৈরির অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষা সচিব সোলেমান খান বরাবর আবেদন করেন। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে মতামত দেওয়ার জন্য সচিব মাউশিতে একটি চিঠি পাঠান। কিন্তু শক্তিশালী সিন্ডিকেট ঊর্ধ্বতন প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে যাচাই-বাছাই না করেই তড়িঘড়ি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মতামত পাঠায়।

সৈয়দ লিয়াকত আলী বলেন, একই আদেশে একই পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া কনিষ্ঠরা আমার জ্যেষ্ঠ হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রেই এমনটি হয়েছে। এতেই বোঝা যায়, পদোন্নতির চূড়ান্ত তালিকা বিধি মোতাবেক হয়নি। পদোন্নতির এ তালিকা সংশোধন এবং সরকারি চাকরিতে যোগদানের পর বিএড ও মাস্টার্সে ভর্তির অবৈধ অনুমতিপ্রাপ্ত সনদধারীদের বাদ দিয়ে পদোন্নতির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

মো. অহিদুর রহমান বলেন, বিধি অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার খসড়া তালিকা প্রকাশ এবং অভিযোগ নেওয়া হলেও মাউশি কোনো শুনানি করেনি। সেজন্য একটি স্থায়ী জ্যেষ্ঠতার তালিকা প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছি।

মাউশির সাবেক মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন বলেন, মাউশিতে অবশ্যই স্থায়ী জ্যেষ্ঠতার তালিকা থাকা উচিত। সমস্যা হলো, কেউ যোগদান করেছে মাউশির কর্মচারী হিসেবে আর কেউ কলেজে। তাই জ্যেষ্ঠতা কীভাবে নির্ধারণ করা হবে, তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। তার পরও একটা নীতিমালা অনুসরণ করে জ্যেষ্ঠতার তালিকা করা উচিত।

দুদকের অনুসন্ধানে দুই অভিযুক্তের নাম পদোন্নতির তালিকায়: মাউশি থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো তালিকায় দুদকের অনুসন্ধানে অভিযুক্ত দুজন কর্মচারীও রয়েছেন। তারা হলেন মাউশির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্ত মো. বেল্লাল হোসেন এবং এনটিআরসিএর সনদ জালিয়াতি কাণ্ডে অভিযুক্ত মাউশির উচ্চমান সহকারী নজমুল হোসেন। গত বছর ডিগ্রি পর্যায়ের ৮৩১ জন ‘তৃতীয়’ শিক্ষককে এমপিওভুক্তির জন্য শিক্ষকপ্রতি ২ লাখ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল নজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, মাউশির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গত বছর মাউশির বেসরকারি কলেজ শাখার উচ্চমান সহকারী বেল্লাল হোসেনকে নরসিংদীতে বদলি করা হয়েছে। কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির জন্য দুদক থেকে না-দাবি প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিতে হয়। নজমুল ও বেল্লাল সেটি কীভাবে সংগ্রহ করেছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

দুদক থেকে জানা গেছে, নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ বদলি বাণিজ্য ও এমপিওভুক্তির পক্ষে-বিপক্ষে প্রতিবেদন দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত। যে ঘটনায় বেল্লাল হোসেন এবং নজমুল হোসেনের নাম বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তারা বদলি, নিয়োগ বাণিজ্য, পদোন্নতি, দুর্নীতির মাধ্যমে জাল এমপিওভুক্তির সঙ্গে জড়িত। দুদকে এ দুজনের বিরুদ্ধেই অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগও জমা আছে।

পদোন্নতির তালিকায় থাকা প্রার্থীদের দিয়েই যাচাই কমিটি!: জানা গেছে, পদোন্নতির তালিকা প্রস্তুত করতে মাউশি থেকে দুটি কমিটি গঠন করা হয়। একটি কর্মকর্তাদের দিয়ে, অন্যটিতে রয়েছেন কর্মচারীরা। কিন্তু নজমুল হোসেন, আবদুর রহিমসহ কর্মচারীদের কমিটির চারজনের নামই আবার পদোন্নতির তালিকায় রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ কমিটি সিন্ডিকেটের কর্মচারীদের দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। সে কারণে অনেকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকলেও সেগুলো আমলে নেওয়া হয়নি।

কর্মচারীদের কর্মকালীন উচ্চশিক্ষা ঘিরে নানা প্রশ্ন: সূত্র জানিয়েছে, ‘সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা’ পদে পদোন্নতি পেতে উচ্চতর ডিগ্রির প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে বিএড ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক। আর ডিগ্রিতে তৃতীয় শ্রেণি থাকলে তার মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে। আগে পদোন্নতির ক্ষেত্রে এমন ডিগ্রি বাধ্যতামূলক না থাকায় অনেকেই উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী ছিলেন না। কিন্তু ২০২১ সালের বিধিমালায় ডিগ্রি বাধ্যতামূলক হওয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণের আগ্রহের হার বেড়ে যায়। তবে অনেকেই দ্রুত সনদ নিতে চাওয়ায় সিন্ডিকেট অর্থ বাণিজ্য করার সুযোগ পায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে ক্লাস না করেই সনদ এনে দিতে কাজ করে সিন্ডিকেটের সদস্যরা। এজন্য কর্মচারীপ্রতি সিন্ডিকেটকে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা দিতে হয়েছে বলে বেশকিছু অভিযোগ ।

এদিকে শিক্ষা ছুটি (ডেপুটেশন) না নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন কোর্স এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চ ডিগ্রি নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

উচ্চশিক্ষার অনুমতি ঘিরেও সংশয়: বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পূর্ণকালীন ডিগ্রি নেওয়াকে মাউশির প্রশিক্ষণ শাখা নিরুৎসাহিত করলেও প্রশাসন শাখা থেকে দেদার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে বিএড ডিগ্রি গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও মাউশির প্রশিক্ষণ শাখার সাবেক সহকারী পরিচালক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস শিকদার বলেন, আমি যখন দায়িত্বে ছিলাম, তখন প্রশিক্ষণ শাখা ছাড়া অন্য কোনো শাখা থেকে উচ্চশিক্ষার অনুমতি দেওয়ার সুযোগ বাদ দিয়েছিলাম। কারণ, নিয়ম হলো প্রশিক্ষণ শাখা থেকে উচ্চশিক্ষার অনুমোদন দেওয়া।

তবে আব্দুল কুদ্দুস শিকদার প্রশিক্ষণ শাখা থেকে উচ্চশিক্ষার অনুমতি বাধ্যতামূলক করলেও তার দায়িত্ব ছাড়ার পর সেটি স্থায়ী হয়নি। ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের কিছু নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, মাউশির প্রশিক্ষণ শাখা থেকে কর্মচারীদের যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়নি, একই সময়ে প্রশাসন শাখার উপপরিচালকের স্বাক্ষরে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

পদোন্নতি কমিটি গঠনসহ সার্বিক প্রক্রিয়া দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন মাউশির উপপরিচালক (প্রশাসন) বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস। তার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য গত দুই সপ্তাহে অন্তত পাঁচবার মাউশিতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

অর্থ বাণিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত তিনজন একবাক্যে তা অস্বীকার করেছেন। যাচাই কমিটিতে নাম থাকার বিষয়টিও এড়িয়ে গেছেন সবাই। আর অভিযুক্ত আব্দুর রহিমের নম্বর বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সূত্র বলছে, নজমুল ও বেল্লাল খান বাহাদুর আহছান উল্লাহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড ডিগ্রি নিয়েছেন। তবে তারা সেটি প্রকাশ করেননি। বেল্লাল হোসেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে ইভিনিং প্রোগ্রামে বিএড করেছেন জানালেও প্রতিষ্ঠানের নাম জানতে চাইলে এড়িয়ে গেছেন। নজমুল হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। দুদকে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তবে কোনো মামলা নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে মামলা না হবে, ততক্ষণ না-দাবির প্রয়োজন হবে না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের মোবাইল ফোনে কল ও খুদেবার্তা পাঠিয়েও তার সাড়া পাওয়া যায়নি। সরাসরি মন্ত্রণালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ  বলেন, আমাদের স্থায়ী জ্যেষ্ঠতার তালিকা নেই। তবে পদোন্নতির সময় জ্যেষ্ঠতার তালিকা করা হয় এবং সে অনুযায়ী পদোন্নতি দেওয়া হয়। প্রার্থী বাছাই কমিটিতে পদোন্নতির তালিকায় থাকা কর্মচারী এবং দুদকের অভিযুক্তরা কীভাবে থাকেন—জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এমনটা করার প্রশ্নই ওঠে না। এ তালিকা করা হয় কর্মকর্তাদের দিয়ে। আর অভিযুক্তকে রাখা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানি না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণ ও শিক্ষা ছুটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, অনেকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে করে, সেক্ষেত্রে আমরা তো বারণ করতে পারি না।সুত্র কালবেলা