যশোরঃ জেলার মণিরামপুরে একটি মাদ্রাসায় ভুয়া নিবন্ধন সনদ দিয়ে ১৩ বছর ধরে শিক্ষকতা করার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, মণিরামপুর উপজেলার বাহিরঘরিয়া-গোপালপুর আলিম মাদ্রাসার জাল নিবন্ধনধারী শিক্ষক মো. হাদীউজ্জামান। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ভুয়া নিবন্ধন সনদ দিয়ে ১৩ বছরে অন্তত অর্ধকোটি টাকা বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করেছেন। তিনি ২০১০ সালের ১৫ই জুন ইংরেজি প্রভাষক পদে নিয়োগ পান। নিয়োগের সময় তার শিক্ষক নিবন্ধনটি ভুয়া প্রকাশ হলে তার যোগদানে আপত্তি জানান বোর্ডের একাধিক সদস্য ও স্থানীয়রা। কিন্তু তাদের আপত্তি তৎকালীন সভাপতি ও অধ্যক্ষ তড়িঘড়ি করে একই মাসের ১৭ই জুন তাকে যোগদান করান। হাদীউজ্জামান শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল ও ভুয়ার বিষয়টি গোপন করে একই সালে এমপিওভুক্তও হন। এরপর কমিটির কয়েকজন সদস্য ও অভিভাবক কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালেও অদৃশ্য শক্তিতে তা ধামাচাপা পড়ে যায়।
এ বিষয়ে হাদীউজ্জামান বলেন, ‘আমার নিবন্ধন সনদ জাল কি আসল সেটা কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করেই আমাকে এমপিওভুক্ত করেছেন এবং আমি ১৩ বছর ধরে শিক্ষকতা করে আসছি। এ ছাড়া আমার বলার কিছু নাই।’
অধ্যক্ষ মো. আব্দুল মালেক জানান, ‘শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল কিনা সেটি আমি নিশ্চিত না। তবে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির নির্দেশনা মোতাবেক অচিরেই এনটিআরসিএ বরাবর আবেদন করার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।’
মাদ্রাসা সভাপতি ডা. আতিয়ার রহমান বলেন, ‘জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে দীর্ঘদিন ধরে তিনি চাকরি করে আসছেন এবং নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন। আমি বিষয়টি বর্তমানে অবগত হয়েই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অধ্যক্ষ মহোদয়কে অনুরোধ জানিয়েছি। ইতিমধ্যে তিনি সে কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছেন।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার জানান, ‘আমি কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৮/১১/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়